আবার ডার্বি টাইম। তবে এ বার আর কলকাতায় খেলা হচ্ছে না।
এ রকম নয় যে ডার্বি কখনও ‘সিটি অব জয়’-এর বাইরে হয়নি। আমি নিজেই তো অনেক মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল যুদ্ধে ছিলাম, যেগুলো কলকাতার বাইরে হয়েছে। কিন্তু এটা তো আই লিগ।
তবে এটাও বলব, কলকাতা ডার্বি কলকাতার বাইরে হওয়াটা কিন্তু খারাপ নয়। কলকাতার বাইরে যদি আপনি দেখেন, তো ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মোটামুটি সমান সমান সমর্থন পায়। কিন্তু শিলিগুড়িতে যখন দুই প্রধানের টক্কর হয়, তখন কিন্তু কিছুটা হলেও ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে সমর্থনটা বেশি হয়।
মোহনবাগান হয়তো এই ব্যাপারটা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় থাকবে। বিশেষ করে আইজল এফসি-র কাছে হঠাৎ করে হেরে যাওয়ার পর। দুর্দান্ত ফর্মে থাকার পর হঠাৎ করে একটা ধাক্কা। আর সেটাও এমন কিছু কঠিন কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নয়। এটা কিন্তু মোহনবাগানকে পিছিয়ে রাখতে পারে। এই ধাক্কাটা ওদের যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে হবে। এই হারটা কিন্তু বাগানকে চাপে রাখবে। অন্য টিমগুলোর মতো বাগান কিন্তু আগে হারেনি। প্রথম হারের পর কোনও ম্যাচ খেলতে নামলে সেটা সব সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আর মোহনবাগানকে কি না সোজা ডার্বিতে এসে নামতে হচ্ছে। ডার্বিতে একটা হার মানে আপনার পা আরও হড়কে গেল। গোটা চারেক রাউন্ড সামনে থাকা অবস্থায় এ রকম পরিস্থিতি কিন্তু খুব ঝুঁকির হয়ে যায়।
আমার মনে হয়, কলকাতায় ডার্বিটা হলে বাগান অনেকটা স্বস্তিতে মাঠে নামতে পারত। যদিও প্লেনে কলকাতা থেকে মিনিট পঁয়তাল্লিশেকের জার্নি, কিন্তু এই জার্নির ব্যাপারটা সব সময় টিমের মাথায় ঘুরতে থাকে। বিশেষ করে যারা এএফসি কাপে খেলছে। এটা বলেও কিন্তু আমি বলব, সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের কাছে সব শেষ হয়ে যায়নি। লিগটা এখনও ওদের হাতে আছে।
অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল কিন্তু আইজলের ম্যাচটা থেকে রসদ খুঁজবে। ইস্টবেঙ্গল জানে এটা ওদের কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচ। হেরে গেলে লিগটা দু’দলের লড়াই হয়ে যাবে— মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু। ইস্টবেঙ্গল আরও মজবুত হবে ভারতীয় দলের প্লেয়াররা ফেরায়। বিশেষ করে অর্ণব মণ্ডল। যার উপর ডিফেন্সটাকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে। অর্ণব কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা জেজেকে সামলে দিতে পারবে।
আমি এই ম্যাচটা স্ট্যান্ড থেকে দেখব। সেরা দল যেন জেতে।
(টিসিএম)