FC Goa

ধীরজের দুরন্ত লড়াই সত্ত্বেও হার গোয়ার

গত বারের রানার্সদের আটকাতে মঙ্গলবার রণনীতিই বদলাননি খুয়ান ফেরান্দো, দলে একাধিক পরিবর্তনও করেছিলেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২১ ০৮:৩৪
Share:

মরিয়া: বল দখলের লড়াই গোয়ার এদুর। মঙ্গলবার ফতোরদায়। টুইটার

অনবদ্য ধীরজ সিংহ। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় ম্যাচে পার্সিপোলিস এফসি-র বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না এফসি গোয়ার। মঙ্গলবার গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ১-২ হেরে মাঠ ছাড়লেন এদু বেদিয়া-রা।

Advertisement

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হওয়ার অনেক আগেই গোয়া কোচ খুয়ান ফেরান্দো জানিয়েছিলেন, ইরানের পার্সিপোলিস শুধু ‘ই’ গ্রুপেরই নয়, প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল। গত বারের রানার্সদের আটকাতে মঙ্গলবার রণনীতিই বদলাননি তিনি, দলে একাধিক পরিবর্তনও করেছিলেন। ঈশান পণ্ডিতাকে বিশ্রাম দিয়ে সামনে একা হর্ঘে ওর্তিসকে রেখে ৪-৫-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন খুয়ান। রক্ষণ শক্তিশালী করতে শুরু থেকে খেলালেন আদিল খানকে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট। এক) পার্সিপোলসিকে কোনও মতেই গোল করতে না দেওয়া। দুই) প্রতিআক্রমণে গোল করার জন্য ঝাঁপানো।

গোয়া কোচের দ্বিতীয় পরিকল্পনা সফল হতে বেশি দেরি হয়নি। গতির বিরুদ্ধে ১৪ মিনিটে পার্সিপোলিসের পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় গোয়া। সরাসরি গোলে না মেরে ব্রেন্ডন ফার্নান্দেস বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। ভিড়ের মধ্যে ছিটকে বেরিয়ে নিখুঁত হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন এদু। গোয়া শিবিরে উচ্ছ্বাস অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চার মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় পার্সিপোলিস। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ইশা আলকাসিরকে ফেলে দেন জেমস ডোনাচি। পেনাল্টি থেকে ১-১ করেন মেহদি তোরাবি। ২৩ মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল গোয়া। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে ঢুকে স্যাভিয়র গামা যে শট নিয়েছিলেন, তা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক হামিদ লাক। এক মিনিটের মধ্যেই পার্সিপোলিসকে ২-১ এগিয়ে দেন সৈয়দ জালাল হোসেইনি। এই গোলের পরে আক্রমণের ঝাঁঝ কয়েকগুণ বেড়ে যায় পার্সিপোলিসের। পরিস্থিতি সামলাতে চোট পাওয়া আদিলকে তুলে অমরজিৎ সিংহকে নামান খুয়ান। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। বিপক্ষের আক্রমণের ঝড় সামলাতে গোয়ার পুরো দলটাই কার্যত নেমে এসেছিল রক্ষণে!

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতেও পার্সিপোলিসের ফুটবলারেরা ব্যবধান বাড়াতে পারেননি ধীরজের দক্ষতার জন্য। পাঁচটি অবধারিত গোল বাঁচান গোয়া গোলরক্ষক। ৪১ মিনিটে ইভান গঞ্জালেস পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফেলে দেন পার্সিপোলিসের এহসান পাহলাভানকে। সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। হোসেন কানানির শট ডান দিকে শরীর ছুড়ে বাঁচান ধীরজ। ৬৭ মিনিটে চোট পেয়ে এদু মাঠ ছাড়েন। বাকি সময়টা ধীরজের নেতৃত্বে বিপক্ষের আক্রমণের ঝড় সামলায় গোয়া। মঙ্গলবার জয়ের হ্যাটট্রিক করে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষ স্থানে এই মুহূর্তে পার্সিপোলিস। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে গেল গোয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন