সচিনের আগে ধ্যানচাঁদের ভারত রত্ন পাওয়া উচিৎ ছিল, সেই দাবিতে আবার মুখ খুললেন ভারতের সেরা হকি তারকারা। রবিবার জন্তর মন্তরের সামনে ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অজিত পাল সিংহ, জাফর ইকবাল, দিলীপ তির্কে ও ধ্যানচাঁদের ছেলে অশোক কুমার মিলিত হন। তাঁদের দাবি ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ এ ভারতকে অলিম্পিক্সে সোনা এনে দেওয়া অধিনায়ককে ভারতরত্ন দেওয়া হোক। শুধু তাই নয় সচিন তেন্ডুলকরের আগে ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন দিতে হবে। যদিও ২০১৪তেই ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছে সচিনকে। জন্তর মন্তরের সামনে দাঁড়িয়ে জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘আমরা এখানে এসেছি এই আশায় যে দাদা ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হোক। যেটা অনেক আগেই পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা শুধু আশাই করতে পারি। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার। যেটা সচিনের সময় হয়েছিল। যেটা তাঁর কৃতিত্বকে কোনওভাবেই আঘাত করে না। এমন কী দাদা এই সম্মান না পেলেও কিছু এসে যায় না। কিন্তু তাঁর সেটা পাওয়া উচিত। কারণ তিনি এই পুরস্কারের সব থেকে বড় দাবিদার।’’
১৯৭৫ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অধিনায়ক অজিত পাল সিংহর দাবি, এই সম্মানের সব থেকে বড় দাবিদার ধ্যানচাঁদই। তিনি বলেন, ‘‘সারা বিশ্ব তাঁকে চেনে। তিনি হকির জাদুকর হিসেবে পরিচিত। যদি কোনও ক্রীড়াবিদ এই সম্মানের দাবিদার হন তা হলে সেটা ধ্যানচাঁদই। ভারতীয়রা যখন গরুর গাড়িতে চলাচল করত তখন তিনি দেশকে সোনা এনে দিয়েছিল। টাকা পয়সা ছিল না। খেলার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। আগের সরকার তাঁকে সেই সম্মান দেয়নি। আশা করব বর্তমান সরকার সেই ভুলের সংশোধন করে নেবে।’’
সচিনের সঙ্গে ধ্যানচাঁদের কোনও তুলনাই করতে চান না প্রাক্তন হকি তারকারা। তাঁদের মতে ধ্যানচাঁদ যখন খেলেছেন তখন ব্রিটিশ শাসন চলছে। পদক জিতলে যে ভাবে টাকার ছড়াছড়ি দেখা যায় সেই সময় সেটা ছিল না। ধ্যানচাঁদকে কোনও ক্রীড়াবিদের সঙ্গেই তুলনা করা যায় না। ‘‘ধ্যানচাঁদ একটা যুগ।’’
আরও খবর
মন কি বাত: ‘তিন কন্যে’র গর্বে গর্বিত প্রধানমন্ত্রী