কর্নেলের বাজি ভারত, সানি এগিয়ে রাখছেন ইংল্যান্ডকে

আসন্ন বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে এক নম্বর দাবিদার কে, এই প্রশ্নের জবাবে ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়কের মুখে শোনা যাচ্ছে দুই আলাদা, আলাদা দেশের নাম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৯ ০৩:২১
Share:

তিনমূর্তি: মুম্বইয়ে একটি অনুষ্ঠানে সুনীল গাওস্কর, সচিন তেন্ডুলকর ও দিলীপ বেঙ্গসরকর। সোমবার। পিটিআই

আসন্ন বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে এক নম্বর দাবিদার কে, এই প্রশ্নের জবাবে ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়কের মুখে শোনা যাচ্ছে দুই আলাদা, আলাদা দেশের নাম।

Advertisement

দিলীপ বেঙ্গসরকর মনে করেন, বিরাট কোহালির ভারতের খুব ভাল সুযোগ আছে ট্রফি জেতার। আবার সুনীল গাওস্কর বলে দিচ্ছেন, বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডই এ বার ট্রফি জয়ের দৌড়ে সবার আগে থাকবে।

সোমবার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে গাওস্কর বলেন, ‘‘ইংল্যান্ড এখন যে ক্রিকেটটা খেলছে, তাতে ওদের ফেভারিট না বলে কোনও উপায় নেই। চার বছর আগের বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পরে ওরা দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দল হিসেবেও ইংল্যান্ড খুব ভাল। আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। সম্প্রতি ওদের খেলায় সেটা ধরা পড়েছে।’’

Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেটে যিনি ‘কর্নেল’ বলে পরিচিত, সেই বেঙ্গসরকর আবার বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জেতার খুব ভাল সুযোগ আছে ভারতের সামনে। অন্তত শেষ চারে তো ওরা যাবেই। তবে ফাইনাল নিয়ে আমি কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছি না। শুধু এইটুকু বলব, কোহালিদের দক্ষতা আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’’

মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগের অনুষ্ঠানে গাওস্কর-বেঙ্গসরকরের সঙ্গে হাজির ছিলেন সচিন তেন্ডুলকরও। এই লিগের অ্যাম্বাসাডর সচিন বলেন, ‘‘আর কিছু দিনের মধ্যেই মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগ এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে, যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেটারেরা এখানে খেলতে চাইবে।’’

পরে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ নিয়ে গাওস্কর বলেন, ‘‘ঘরের মাঠে খেলার একটা সুবিধেও পাবে ইংল্যান্ড। আমরা দেখেছি, ২০১১ সালে ভারত আর ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দেশে ট্রফি জিতেছিল। তবে ক্রিকেটে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ইংল্যান্ড যেমন ফেভারিট, সে রকম অন্যান্য দলও কিন্তু ভাল ক্রিকেট খেলছে।’’

ইংল্যান্ডের পাশাপাশি আরও তিনটে দলের কথা বলেছেন গাওস্কর, যারা সেমিফাইনালে যেতে পারে। সেই তিনটি দল হল ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করেন, নির্বাসনের পরে ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথ ফিরে আসায় অস্ট্রেলিয়া আরও শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটেরও পুনর্জন্ম হয়েছে বলে মনে করেন গাওস্কর। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই চারটি দল বাকিদের থেকে এগিয়ে আছে।’’

ইংল্যান্ডে এ বার যে সময় বিশ্বকাপ হচ্ছে, তখন পিচ শুকনো থাকবে বলেই মনে করেন গাওস্কর। ফলে ব্যাটসম্যানদের স্ট্রোক খেলতে সমস্যা হবে না বলেই তাঁর ধারণা। আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। যেখানে এ বার দশটা দলের সবাইকে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। ‘‘এ বারের ফর্ম্যাটের জন্য বিশ্বকাপটা খুব উত্তেজক হবে। সব দলের বিরুদ্ধে সবাইকে খেলতে হবে। দু’টো গ্রুপ করা হচ্ছে না,’’ বলেছেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন