দীপা কর্মকার। —নিজস্ব চিত্র
মান্তু ঘোষ, ঋদ্ধিমান সাহার শহরে এ বার দীপা কর্মকারও। মহালয়ার সকালে শিলিগুড়ি বাঘা যতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের রোড রেস উদ্বোধন করতে এ দিন শহরে পৌঁছন দীপা।
দীপার কথায়, এ বছর রিওতে তাঁর পারফরম্যান্সের পরে দেশে জিমনাস্টিকের জনপ্রিয়তা বেড়েছে এটা বড় ব্যাপার। জিমনাস্টিকের দরজা দেশের প্রতিযোগীদের সামনে খুলে গিয়েছে। এখন যাঁরা উঠে আসবেন, তাঁরা পদক জয়ের জন্যই এখন থেকে লক্ষ রাখবেন বলে বিশ্বাস দীপার। নিজের লশ্ক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সোনা আনাটা লক্ষ্য থাকলে অন্য পদক জয় এমনি হবে। আর রুপো বা ব্রঞ্জের লক্ষ্যে নামলে হয়তো এ বার যেখানে শেষ করেছি সেখানেই থেমে যেতে হবে। তাই পরের অলিম্পিকে পদক তথা সোনা জয়ই আমার লক্ষ্য থাকবে। সেই ভাবে প্রস্তুত হতে চাই।’’ তবে টোকিওর আগে, ২০১৭ তে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, কমনওয়েল্থ, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো অন্যান্য প্রতিযোগিতাগুলিও রয়েছে। দীপা জানান, কোচ যা চাইবেন সে ভাবেই প্রতিযোগিতাগুলিতে অংশ নেব।
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতেই ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বাঘা যতীন ক্লাবের কর্মকর্তারা। বাইক মিছিল করে বিমানবন্দর থেকে তাঁকে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিকেলে শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে হোটেলে গিয়ে সংবর্ধনা, মানপত্র তুলে দেন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো এবং ক্রীড়া বিভাগের মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ। শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য কলকাতায় থাকায় তাঁর হয়ে শুভেচ্ছা জানান শঙ্করবাবু। দীপার সঙ্গে এসেছেন মা গৌরীদেবী। তাঁকেও পুরসভার তরফে সংবর্ধনা জানানো হয়। দীপাকে স্বাগত জানাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তোরণ তৈরি করা হয়েছে। পর্যটন দফতরের তরফেও সহায়তা করা হচ্ছে।
দীপার ইচ্ছে শিলিগুড়িতে জিমনাস্টিকের অনুশীলন শুরু হোক। তিনি বলেন, ‘‘বাবা (দুলাল কর্মকার)-কে ধন্যবাদ। তিনি আমাকে জিমনাস্টিকের অনুশীলনের জন্য ভর্তি করিয়েছিলেন। না হলে হয়তো এই জায়গায় পৌঁছন হত না।’’ দীপার কথায়, ‘‘অনেকে আগরতলার কথা শুনে মনে করেন সেটা হয়তো বাংলাদেশে। এখন তাদের সেই ভ্রম ভেঙেছে।’’ আজ, শুক্রবার বাঘা যতীন ক্লাবের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবর্ধনাও জানানো হবে।ক্লাবের তরফে দীপাকে অনুশীলনের জন্য তাঁর পছন্দ মতো ‘স্প্রিং বোর্ড’ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।