দীপার নিশানায় তিনটি বিশ্বকাপ ও জার্মানি যাত্রা

জার্মানির মতো আরও কয়েকটি বিশ্বকাপ হবে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের। সেগুলোতে নেমে সোনা জেতার মতো পারফরম্যান্স করতে হবে দীপাকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৪
Share:

পরীক্ষা: দীপার লক্ষ্য অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন। ফাইল চিত্র

চোটের যন্ত্রণাকে পিছনে ফেলে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন তিনি। কিন্তু দীপা কর্মকারের কোচ মনে করছেন, ব্রোঞ্জ জিতলেই হবে না। দীপাকে জিমন্যাস্টিক্সের বিশ্বকাপ থেকে সোনা জিততে হবে। একমাত্র তবেই তিনি অলিম্পিক্সে নামার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। তাঁর কথায়, দীপার অলিম্পিক্স স্বপ্ন ফিরেছে ঠিকই। কিন্তু পূরণ হতে অনেক রাস্তা যাওয়া বাকি।

Advertisement

জার্মানির মতো আরও কয়েকটি বিশ্বকাপ হবে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের। সেগুলোতে নেমে সোনা জেতার মতো পারফরম্যান্স করতে হবে দীপাকে। তবেই তিনি ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করার ছাড়পত্র পেতে পারেন। দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী জানাচ্ছেন, এখনও তাঁরা ঠিক করে উঠতে পারেননি কোন বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় এর পর তাঁরা যাবেন। তবে এর পর বাকু, মেলবোর্ন এব‌ং দোহায় যে বিশ্বকাপগুলি হবে, সেখানে নামতে পারেন দীপা। ‘‘আমরা এখনও ঠিক করিনি। সাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সঙ্গেও কথা বলব। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,’’ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন বিশ্বেশ্বর। তার পরেই যোগ করছেন, ‘‘তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য পরের বছর জার্মানির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় বা চতুর্থ হতে পারলেও অলিম্পিক্সের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা যেতে পারে।’’

চোট এবং অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে দীপার প্রত্যাবর্তন দেখে অনেকেই যদিও আশাবাদী। নানা খেলার তারকারা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দীপা নিজেও শনিবার টুইট করেন, ‘‘ইয়ে ব্রোঞ্জ ভি গোল্ড লগ রহা হ্যায়।’’ বেশ কয়েক জন নামী প্রতিপক্ষের মধ্যে থেকে ব্রোঞ্জ জিতে খুশিই ছিলেন তিনি। তবে কোচের কথায়, আরও অনেক কঠিন রাস্তা যাওয়া বাকি। বিশ্বেশ্বর বলেছেন, তিনি গত কয়েক মাসে দীপাকে প্রচুর পরিশ্রমও করিয়েছেন। মাঝেমধ্যে কেঁদেও ফেলেছেন দীপা। জিমন্যাস্টিক্স এমনিতেই খুব কঠিন খেলা। তার উপর ভল্টের মতো কঠিন ইভেন্টে নানা শারীরিক বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে ভাল করতে চাওয়া কঠিনতম চ্যালেঞ্জ। দীপা তবু স্বপ্ন ছাড়তে নারাজ। অলিম্পিক্সে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য নিজেকে নিংড়ে দিতেও প্রস্তুত। জার্মানিতে ব্রোঞ্জ জয়ের রাস্তা যে মোটেও সহজ ছিল না, সেটাও জানিয়েছেন কোচ বিশ্বেশ্বর।

Advertisement

হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পরে গত জুলাইয়ে তুরস্ক বিশ্বকাপে পদক জেতেন দীপা। কিন্তু তার পরেই এশিয়ান গেমসে ফের চোট পান। হাঁটুর চোটেই ফাইনালে নামতে পারেননি। প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে হয়। এশিয়ান গেমসের ফাইনাল পর্ব থেকে সরে দাঁড়ানো দীপার মনে সংশয়ও তৈরি করে দেয়। তিনি যে দ্বিধায় ভুগছেন, এটা বুঝতে পেরে কোচ বিশ্বেশ্বর তাঁকে সাইয়ের মনোবিদ ভাবনা চহ্বনের কাছেও পাঠান। সাইয়ে ১৮ দিনের কড়া ট্রেনিংয়ের সঙ্গেই চলেছিল দীপার মনকে ঠিক করার অনুশীলন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন