সুনীল ছেত্রী
সব আয়োজন সম্পূর্ণ। এ বার শুধু অপেক্ষা ভারতে ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার।
আমার কেরিয়ারে, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ভারতীয় ফুটবলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে আসল চ্যালেঞ্জটা কিন্তু এ বার শুরু হল— টুর্নামেন্টটা নিখুঁত ভাবে আয়োজন করার। তবে একটা কথা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, যাঁরা ভাবছেন অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন করা মানেই রাতারাতি ভারতীয় ফুটবল পাল্টে যাবে, তাঁরা ভুল করছেন। এটা ঠিক, যে এতে আমরা একটা দিশা পাব। বুঝতে পারব, এখন বিশ্ব ফুটবলের মান ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে। কেন না, এই বিশ্বকাপে যাঁরা ভারতে খেলছে, তাদের মধ্যে থেকেই তো ভবিষ্যতে ফুটবল বিশ্বের মহাতারকা উঠে আসবে। মানে ভবিষ্যতের মেসি, নেমার, ক্রিশ্চিয়ানোরা।
শেষ বার আমাদের অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় দলের তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় বলেছিলাম, মাঠে কাউকে ভয় পাবি না। মাঠে যে ৯০ মিনিট কাটাবে ওরা সেই মুহূর্তগুলো কিন্তু আর ফিরে আসবে না, কখনও আসেও না।
এক জন ফুটবলারের কোনও আক্ষেপ থাকা উচিত নয়। মাঠে নিজের সেরাটা সব সময় উজাড় করে দিতে হয়। অবশ্য এ সব বলার চেয়ে করে দেখানোটা অনেক কঠিন। আমাদের ছেলেদের কোনও প্রতিপক্ষকে দেখে ভয় পেলে চলবে না। গোটা দেশের সমর্থন রয়েছে ওদের সঙ্গে। আমাদের এই বিশ্বকাপের উপর ভিত্তি করে আরও এগিয়ে যেতে হবে। ২৮ অক্টোবর ফাইনালের পরেই যেন সব শেষ না হয়ে যায়। বরং সেখান থেকেই নতুন ভাবে শুরু করতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা হল অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ গোটা দেশের তরুণদের আরও উদ্বুদ্ধ করবে খেলোধুলোয়। ক্লাবগুলোকেও দেখতে হবে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল খেলোনোর ব্যাপারটা। অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ লিগ তো এখন আছেই। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৩ যুব লিগ সম্ভবত এ মরসুমে শুরু হবে।
অতিথি দেবো, ভবঃ— ভারতের আতিথেয়তার সুনাম রয়েছে। এ বার সেটা দেখিয়ে দেওয়ার সময়। (টিসিএম)