জার্সি এখন অন্য। কিন্তু চোটের কবলে পড়ে সবুজ-মেরুন নতুন জার্সিতে নামাই হচ্ছে না ডুডুর।
কবে আসছেন তিনি?
কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেই দশ জনের মহমেডানকে হারাতে না পারার যন্ত্রণা যেন আরও অস্থির করে তুলেছে সবুজ-মেরুন জনতাকে! তাই বাগান প্রেমীরা তো বটেই, ডুডু কবে আসবেন, তা ভেবে রাতের ঘুম নষ্ট করে ফেলেছেন কোচ সঞ্জয় সেনও।
রবিবারের ‘মিনি ডার্বি’ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, গোল করার লোকের কত অভাব বাগানে। এই পরিস্থিতিতে ডুডুর মতো প্রকৃত স্ট্রাইকার যত দেরি করবেন আসতে, ততই লিগ-জয়ের স্বপ্ন থেকে দূরে সরে যাবেন ভারতসেরারা। ক্লাবের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত অবশ্য আশ্বস্ত করলেন, ‘‘এই সপ্তাহের মধ্যে ওকে কলকাতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। লাগোস থেকে ফিনল্যান্ডে ডুডুর ভিসা পৌঁছে গিয়েছে। এ বার শুধু ওদের কিছু নিয়ম-কানুন বাকি।’’
বাগান কর্তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও, বৃহস্পতিবার সাইয়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেও ডুডুকে পাওয়া যাবে না। তবে ডুডু নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে বাগানের জন্য একটা সুখবর হল, শিল্টন পাল আবার মাঠে নেমে পড়লেন। এবং প্র্যাকটিসের পরে সোমবার বাগান অধিনায়ক তাঁর কোচকে আরও চিন্তা মুক্ত করলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আশা করছি দু’দিনের মধ্যে আমি আবার বল নিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারব।’’
এ দিকে, প্রথম ম্যাচে নজরকাড়া ফুটবল খেলতে না পারলেও, সেই তরুণ-ব্রিগেডের ওপর-ই ভরসা রাখছেন সঞ্জয়। এ দিন প্র্যাকটিসে নিজের রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের দেখে নেন তিনি। তবে সবচেয়ে অভিনব ব্যাপার হল, সঞ্জয় সম্ভবত প্রথম কোচ যিনি ‘মিনি ডার্বি’-তে হওয়া ভুল-ত্রুটির হিসেব চাইলেন তাঁর বিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের থেকেই। বাগান কোচ বলছিলেন, ‘প্রথম ম্যাচের বেশিরভাগ ফুটবলার-ই বৃহস্পতিবার খেলবে। একটা ম্যাচ দেখে কারও যোগ্যতা বিচার করা যায় না। তীর্থঙ্করের গোড়ালিতে চোট লেগেছে। পরিবর্তে আজজারউদ্দিনকে খেলাতে পারি। তবে সে-ও পুরো ফিট নয়।’’