ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের সঙ্গে আগামী সোমবারের সভা ফলপ্রসু হলে তবেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নিলামের কাগজ তুলবে মোহনবাগান।
আইএসএল না আই লিগ কোনটা খেলা হবে, তা নিয়ে একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ঠিক করেছেন দুই প্রধানের কর্তারা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল বিডের কাগজ তুললেও সবুজ মেরুন শিবির তা নিয়ে নীরব। কেন? মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বৃহস্পতিবার বললেন, ‘‘দিল্লির সভায় কী হয় দেখি। তার পর তো তোলার প্রশ্ন। ২৪ তারিখ তুলেও তো ২৫ মে জমা দেওয়া যাবে। শুধু শুধু পাঁচ লাখ টাকা খরচ করতে যাব কেন?’’ আর ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘‘আমরা দরপত্র তুলেছি মানেই তো ওদেরও কাগজ তোলা হল। এক সঙ্গেই তো আলোচনার টেবলে বসব।’’
কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বা কলকাতার মাঠে খেলা—যে দুটি দাবি নিয়ে দুই প্রধানের দিল্লি দরবার, সেটা তো আইএসএল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। সেখানে ফেডারেশন সচিব কী করবেন? দুই ক্লাবের দুই শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘কুশলবাবু দু’পক্ষের মধ্যে সেতুর কাজ করেছেন।’’
এখনও যা পরিস্থিতি তাতে দুই প্রধানের দাবি আইএসএলের পক্ষে মানা কঠিন। তবুও দুই ক্লাবের কর্তারা একবার শেষ চেষ্টা করে দেখতেই দিল্লি যাচ্ছেন। ক্লাবের নাম, জার্সির রং এবং লোগো বিক্রি না করে নিজেরাই স্পনসর জোগাড় করে তাঁরা আইএসএল খেলতে চান। একটি বড় শিল্পগোষ্ঠী দূর্গাপুরে খেললে তাদের স্পনসর করবে জানানোর পরও মোহনবাগান কর্তারা কলকাতায় খেলার ব্যাপারে অনড়। তেমনই শিলিগুড়িতে খেলতে যেতে রাজি নয় ইস্টবেঙ্গল। আইএমজিআরের এক কর্তা মুম্বই থেকে বললেন, ‘‘ওদের তো দু’বছর মাত্র বাইরে খেলতে হবে। নোটিশেই তা জানিয়ে দিয়েছি। তার পরেই ফিরিয়ে আনা হবে কলকাতায়। সেটা মানলেই সমস্যা মিটে যায়।’’