খালিদের চোখ নেরোকা ম্যাচে

১৫ ম্যাচের পরে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ২৬। টানা তিন ম্যাচ জিতলে কেভিন লোবো-দের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৩৫। লিগ জয়ের দৌড়ে থাকা মিনার্ভা যদি বাকি চার ম্যাচের মধ্যে, তিনটি ড্র করে ও একটি জেতে বা দু’টি ম্যাচ হারে ও দু’টি ম্যাচ জেতে, তা হলে তাদের পয়েন্টও দাঁড়াবে ৩৫।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৯
Share:

গোকুলম এফসি-র কাছে হারের পরেও আই লিগ জয়ের আশা ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ শিবিরের কাছে এখন অঙ্ক একটাই। চেন্নাই সিটি এফসি, নেরোকা এবং লাজং-এর বিরুদ্ধে বাকি তিন ম্যাচ জিতে নয় পয়েন্ট ঘরে আনা।

Advertisement

১৫ ম্যাচের পরে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ২৬। টানা তিন ম্যাচ জিতলে কেভিন লোবো-দের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৩৫। লিগ জয়ের দৌড়ে থাকা মিনার্ভা যদি বাকি চার ম্যাচের মধ্যে, তিনটি ড্র করে ও একটি জেতে বা দু’টি ম্যাচ হারে ও দু’টি ম্যাচ জেতে, তা হলে তাদের পয়েন্টও দাঁড়াবে ৩৫। কিন্তু মুখোমুখি সাক্ষাতে জেতার জন্য তখন চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল।

শনিবার কোঝিকোড়-এ হারের পরে মুষড়ে পড়েছিলেন লাল-হলুদ শিবিরের কোচ এবং খেলোয়াড়রা। কোচ খালিদ জামিল রাতে ডিনার টেবল-এ ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের মনোবল বাড়ানোর কাজটা করেন ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী। তাঁরা দু’জনে মিলে ফুটবলারদের লিগের অঙ্ক তুলে ধরে বোঝান, লিগের শেষ পর্বে এসে মিনার্ভার পারফরম্যান্স গ্রাফ নামছে। শেষ চার ম্যাচে মাত্র একটি জয় তাদের। এই পরিস্থিতিতে টানা তিন ম্যাচ জিতলে লিগ জয়ের ভাগ্য খুলেও যেতে পারে। তবে এরই মাঝে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে অসন্তোষ, কেন মিনার্ভাকে এত বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর নামে ক্রীড়াসূচিতে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

লাল-হলুদ শিবিরের কোচ খালিদ জামিল এ দিন দুপুরে বিমানবন্দরে নেমেও কোনও কথা বলেননি। দমদম বিমানবন্দরে নেমে লাউঞ্জে বসেই তিনি চোখ রেখেছিলেন মোহনবাগান-নেরোকা ম্যাচের উপরে। কারণ বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে তাঁকে খেলতে হচ্ছে নেরোকা-কে। বিমানবন্দরে ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরেন তিনি। ক্লাব সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কোচ বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। চলতি সপ্তাহেই চলে আসবেন খালিদ জামিলের পছন্দ করা বিদেশি ডিফেন্সিভ মিডিও উগান্ডার খালিদ আউচো।

গোকুলমের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখে হতাশ ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সময় ভুল পাস করলে ফুটবলারই লজ্জা পেত। কিন্তু গোকুলমের বিরুদ্ধে অনেক ফুটবলারকে দেখলাম দু’একজন-কে কাটিয়েই উদ্দেশ্যহীন ভাবে বল পাস করছে। যা দলের খেলোয়াড়ের পায়ে যাচ্ছে না।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ইস্টবেঙ্গল দলের অনেক ফুটবলারের দলের প্রতি দায়বদ্ধতাই নেই। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকা দলের যে তাগিদ দেখানো দরকার সেটাই দেখিনি ডুডু-দের খেলায়।’’ আত্মঘাতী গোল করে সমালোচনার মুখে ভারতীয় দলের সদস্য সালামরঞ্জন সিংহও। দলের অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল কেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখলেন তা নিয়েও কথা উঠছে ক্লাবের অন্দরে। বাদ যাচ্ছেন না খালিদ জামিলও। কেন গুরবিন্দর সিংহকে দলের বাইরে রাখা হচ্ছে, কেনই বা ডুডু-কে আক্রমণে একা রাখা হচ্ছে তা নিয়েও সমালোচনা ছুটে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কোচের দিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন