আশার কথা শুনিয়েই শহর ছাড়লেন প্লাজারা

শিলং লাজংয়ের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করেও প্লাজারা হতাশ নন। এখন লক্ষ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি আইজল ম্যাচ। বৃহস্পতিবার কলকাতা ফেরার আগে সেটাই যেন বোঝাতে চাইলেন উইলিস প্লাজা, গুরবিন্দর সিংহ এবং তাদের কোচ মর্গ্যান-ও।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০০
Share:

ফেরার পথে পেইন, কোচ মর্গ্যান, প্লাজা ও ওয়েডসন। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

শিলং লাজংয়ের সঙ্গে ম্যাচ ড্র করেও প্লাজারা হতাশ নন। এখন লক্ষ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি আইজল ম্যাচ। বৃহস্পতিবার কলকাতা ফেরার আগে সেটাই যেন বোঝাতে চাইলেন উইলিস প্লাজা, গুরবিন্দর সিংহ এবং তাদের কোচ মর্গ্যান-ও।

Advertisement

যদিও নিষ্ফলা ডার্বি এবং তার পর লাজং ম্যাচে ড্র-এর পর দলের মধ্যে তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সমর্থকেরা এতটাই হতাশ যে এদিন দল হোটেল ছাড়ার সময় কাউকেই দেখা যায়নি। বুধবার লাজং ম্যাচে আনকোরা অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার ক্রিস্টোফার পেইনকে মর্গ্যান শুরু থেকে খেলালেও মাঠে কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। কাজে লাগেনি দলের। বরং বল ‘রিসিভ’ করার ক্ষেত্রে একাধিকবার সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে মিস পাস করতে। খেটে খেলে ভাল কোনও পাস বা মুভ করতে তাঁকে দেখা যায়নি। তার পরেও তাঁকে দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় পর্যন্ত খেলানো নিয়ে দলের কর্মকর্তারাও নিজেদের মধ্যে নানা কথা বলতে শুরু করেছেন। তাঁদের যুক্তি, দল জয়ে থাকলে আনকোরা ফুটবলারকে নামাতে পারতেন কোচ। ডার্বিতে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তারপর ওই অবস্থায় আনকোরা ফুটবলারকে তিনি পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন কেন? কোচের পরিকল্পনা তারা সঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান। একাংশ ডার্বি এবং তার পর লাজং ম্যাচ নিয়ে দলের খেলায় এতটাই হতাশ যে কোচকে দোষারোপ করতেও শুরু করেছেন।

লাল-হলুদের ভক্তদের প্রশ্ন থাকতেই পারে প্রথম দিন মাঠে পেইন কোনও সমস্যায় ছিলেন কি না। এ দিন শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা রওনা হওয়ার আগে পেইন বলেন, ‘‘সমস্যার কোনও ব্যাপার নেই। দলের হয়ে মাঠে নেমেছি। সকলেই সহযোগিতা করছে। একটু সময় পেলেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারব বলে আশাবাদী।’’ লাল-হলুদের কোচ জেমস ট্রেভর মর্গ্যানের মুখেও একই উত্তর মিলল। তিনি বলেন, ‘‘একটু সময় দিতে হবে। একটু সময় দিলেই ও দলের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে নিতে পারবে, স্কোর করতে পারবে বলে আশাবাদী। আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে।’’

Advertisement

লাজংয়ের সঙ্গে ম্যাচ ড্র হলেও গোল করেছেন প্লাজা। অন্য দিকে মুম্বই ম্যাচে মোহনবাগানের স্কটিশ স্ট্রাইকার ড্যারেল ডাফি গোল না-পাওয়ায় তাঁকে ধরে ফেলেছেন প্লাজা। এ বছর আই লিগে দুই জনেরই এখন পর্যন্ত ৬ টি করে গোল রয়েছে নিজেদের ঝুলিতে।

ত্রিনিদাদ টোবাগোর স্ট্রাইকার প্লাজা এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। ডাফি আট। যদিও এখনও টপ স্কোরারের জায়গায় রয়েছে লাজংয়ের ডিপান্ডা ডিকা। নয়টি ম্যাচে তার করা গোল সংখ্যা ৭। এ দিন হোটেল ছাড়ার সময় সেই হিসাবই নিচ্ছিলেন প্লাজা। আগের দিন ডিপান্ডাদের সঙ্গে খেলা হলেও তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা ছিল না প্লাজার। এদিন শিলিগুড়িতে প্লাজা জানান, ‘‘আসলে অনেক দলের সঙ্গে আমি প্রথমবার খেলছি। ডিপান্ডাকে বুঝে উঠতে পারিনি।’’ ডিপান্ডাকে ছাপিয়ে যেতে হলে আইজলের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচে নিজের স্কোর বাড়িয়ে নিতে চাইছেন প্লাজা। ক’টা গোল করার লক্ষ্য থাকছে? প্রশ্ন শুনে হেসে বলেন, ‘‘গোল করতে হবে। তবে ক’টা এখনই বলতে পারছি না।’’ এ দিন শিলিগুড়ি থেকে ফেরার সময় বুকেনিয়া, ওয়েডসন, প্লাজার খেলা নিয়ে প্রশংসা করেন লাজংয়ের স্ট্রাইকার ডিপান্ডা। লাজং ম্যাচে গলায় চোট পেয়েছেন গুরবিন্দর সিংহ। কলকাতায় ফিরে চিকিৎসককে দেখাবেন জাননা। তবে আইজলের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে সমস্যা নেই। তিনি প্রস্তুত। শুক্রবার সকালেই কলকাতা থেকে তাদের রওনা হওয়ার কথা। শিলিগুড়িতে হোম গ্রাউন্ডে ডার্বি এবং লাজং ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নষ্টের পর ওই ম্যাচে তারা কতটা ঘুরে দাঁড়াবে তা নিয়ে প্রশ্ন অবশ্য রয়েই গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন