East Bengal

ফিফার নির্বাসনে সঙ্কট লাল-হলুদে

চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না পেয়ে আগের লগ্নিকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন লাল-হলুদের একাধিক ফুটবলার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২১ ০৬:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

চুক্তি বিতর্কের মধ্যেই নির্বাসনের শাস্তি নেমে এল লাল-হলুদে। ফুটবলারদের বকেয়া না মেটানোয় সোমবার নতুন মরসুমে ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (ট্রান্সফার ব্যান) জারি করল ফিফা। আইএসএলের আর এক দল কেরল ব্লাস্টার্সকেও নির্বাসিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।

Advertisement

চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না পেয়ে আগের লগ্নিকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন লাল-হলুদের একাধিক ফুটবলার। কিন্তু তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, যে-হেতু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তাই ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব তারা নেবে না। এর পরেই ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফুটবলারেরা। অভিযোগ করেন ভারতের ফুটবলারদের সংস্থার কাছেও। ফিফার কাছে অভিযোগ করেন স্পেনীয় ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। ফুটবলার খাইমে সান্তোস কোলাদো-সহ অনেকেই। লাল-হলুদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরে নতুন লগ্নিকারী সংস্থা এএফসি-র কাছে মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছিল, ক্লাবের যাবতীয় বকেয়া তারা মিটিয়ে দেবে। এই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা দাবি করেছিলেন, প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে ইস্টবেঙ্গলের কোনও আর্থিক দায় তাঁরা নেবেন না। মাসখানেক আগেই ফিফার তরফে চিঠি দিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে দ্রুত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া না মেটালে নতুন মরসুমে ফুটবলারদের সই করানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করানো হবে। সোমবার সেটাই হল।

নির্বাসনের শাস্তি যে নেমে আসতে চলেছে, খুব ভালই জানতেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। কিন্তু তাঁরা নির্বাসন আটকানোর কোনও উদ্যোগ নেননি। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা যদি চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করতেন, তা হলেই তাঁরা সমস্যা সমাধান করতে উদ্যোগ নিতেন। কিন্তু ক্লাব কর্তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে স্বাক্ষরিত হওয়া প্রাথমিক চুক্তিকে মান্যতা দিতে রাজি নন। উল্টে বারবার অভিযোগ করছেন, প্রাথমিক ও চূড়ান্ত চুক্তির মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ফিফা নির্বাসন না তুললে খেলবে কী করে লাল-হলুদ? লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা জানিয়ে দিলেন, চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এই বিষয় নিয়ে ভাবতেই চান না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন