আলেসান্দ্রোকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ইস্টবেঙ্গলে

সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ চণ্ডীগড় থেকে কলকাতায় পৌঁছলেন এনরিকে এসকুয়েদা, জনি আকোস্তারা। সবার আগে সহকারী মারিয়ো রিভেরাকে নিয়ে বেরিয়ে এলেন কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। একটু পরে একে একে বেরোতে শুরু করলেন ফুটবলারেরা। ইস্টবেঙ্গল তারকাদের দেখতে পেয়ে অনেক যাত্রীই নিজস্বী তুললেন। কেউ কেউ অটোগ্রাফ নিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩২
Share:

মানসিকতা পাল্টে দিয়েছেন আলাসান্দ্রো, মানছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

আই লিগের খেতাবি দৌড়ে হারিয়ে যেতে যেতে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। কিন্তু সাত দিনে তিনটি ম্যাচ খেলে মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিধ্বস্ত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা।

Advertisement

সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ চণ্ডীগড় থেকে কলকাতায় পৌঁছলেন এনরিকে এসকুয়েদা, জনি আকোস্তারা। সবার আগে সহকারী মারিয়ো রিভেরাকে নিয়ে বেরিয়ে এলেন কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। একটু পরে একে একে বেরোতে শুরু করলেন ফুটবলারেরা। ইস্টবেঙ্গল তারকাদের দেখতে পেয়ে অনেক যাত্রীই নিজস্বী তুললেন। কেউ কেউ অটোগ্রাফ নিলেন। আশ্চর্যজনক ভাবে টানা দু’ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পরেও দেখা গেল না কোনও সমর্থককে। গোকুলম ম্যাচের আগে যাতে মনঃসংযোগ নষ্ট না হওয়ার ভয়ে কোচ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ফুটবলারদের কথা বলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। নিজেও এড়িয়ে গেলেন সাংবাদিকদের। কোচের ফতোয়ায় অবশ্য ক্ষুব্ধ নন ফুটবলারেরা। তাঁদের মতে, আলেসান্দ্রোই বদলে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলকে।

প্রথম দলের এক ফুটবলার বলছিলেন, ‘‘সাফল্যের আসল কারিগর আমাদের কোচ। ওঁর জন্যই আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন আমাদের অক্ষত রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কৃতিত্ব দিতে হবে ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদারকে। ওর জন্যই আমাদের দলে এ বার কোনও ফিটনেস সমস্যা নেই। চোট-আঘাতও সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।’’

Advertisement

রবিবার মিনার্ভা এফসি-কে হারিয়ে ১৯ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখনও চেন্নাই সিটি এফসি। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে ৯ মার্চ গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ জিতলেও ইস্টবেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নির্ভর করবে চেন্নাইয়ের উপরে। কারণ, একই দিনে ঘরের মাঠ কোয়েম্বত্তূরে পেদ্রো মানজ়িরা খেলবেন মিনার্ভার বিরুদ্ধে। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবেন তাঁরা। চেন্নাই যদি হারে বা ড্র করে তা হলে আই লিগ জিতবে ইস্টবেঙ্গল।

প্রবল চাপ সামলে গোকুলমের বিরুদ্ধে খেলা কতটা কঠিন? ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা অবশ্য দাবি করলেন, তাঁদের কোনও চাপ নেই। বললেন, ‘‘শেষ দু’টো ম্যাচই তো আমাদের কাছে ফাইনাল ছিল। একটা ম্যাচেও যদি পয়েন্ট নষ্ট করতাম, সব আশা শেষ হয়ে যেত। এখন আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। আমাদের পাখির চোখ গোকলুমকে হারানো। তার পরে দেখা যাবে।’’

কয়েক জন ফুটবলারের মতে, তাঁদের জন্যই পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গিয়েছে। বলছিলেন, ‘‘বেশ কয়েকটা ম্যাচে নিজেদের ভুলেই জয় হাতছাড়া করেছি আমরা। ঘরের মাঠে চেন্নাই ও মিনার্ভার বিরুদ্ধে হার। তার পরে আইজলের বিরুদ্ধে ড্র। এই ম্যাচগুলো জিতে থাকলে আমাদের এত ভাবতে হত না। হয়তো খেতাব নিশ্চিত করে ফেলতে পারতাম। যা-ই হোক এখন আর অতীত নিয়ে ভেবে লাভ নেই।’’

ইস্টবেঙ্গল কোচ অবশ্য সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ফুটবলারদের টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি ও জবি জাস্টিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। গোকলুমের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এনরিকে-দের তরতাজা রাখতে দু’দিন বিশ্রাম দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারের আগে মাঠে নামবেন না। পরের দিন সকালের উড়ানে কোঝিকোড় যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। তার আগেই জেনে যাবেন গোকুলমের বিরুদ্ধে জবিকে পাবেন কি না। আইজল এফসি-র করিম ওমোলোজার সঙ্গে বিবাদের জেরে নির্বাসিত হয়েছেন লাল-হলুদ স্ট্রাইকার। একই কারণে করিমও মাঠের বাইরে। ৩ মার্চ দুই ফুটবলারের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তা দু’দিন পিছিয়ে দেয়। আজ, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আলেসান্দ্রো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন