সোমবার পঞ্চকুল্লায় আই লিগে আইজল এফসি বনাম মিনার্ভা এফসি দ্বৈরথ। অথচ উদ্বেগ বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান শিবিরে!
১৭ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে আই লিগের শীর্ষে মণিপুরের নেরোকা এফসি। শনিবার যুবভারতীতে চেন্নাই সিটি এফসি-কে হারিয়ে ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। এক ম্যাচ কম খেলা মিনার্ভারও পয়েন্ট ২৯। কিন্তু গোল পার্থক্যে তাদের টপকে গিয়েছেন ডুডু ওমাগবেমি-রা। ১৫ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে মোহনবাগান। সোমবার আইজলের বিরুদ্ধে জিতলেই ফের এক নম্বরে উঠে আসবেন চেঞ্চো গেলেৎসেন-রা। ফের অস্বস্তি বাড়বে কলকাতার দুই প্রধানের অন্দরমহলে।
মোহনবাগানের চেয়ে লাল-হলুদ শিবিরেই উদ্বেগ একটু বেশি। এই মুহূর্তে আই লিগ টেবলের যা পরিস্থিতি তাতে শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবে মিনার্ভা-ই। কারণ, ইস্টবেঙ্গল সব ম্যাচ জিতলেও শেষ করবে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে। যদি চেঞ্চো-রা দু’টো ম্যাচ জেতেন এবং একটি হেরে যান, সে ক্ষেত্রে মিনার্ভাও শেষ করবে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে ইস্টবেঙ্গলই। কারণ মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে রয়েছেন আমনা-রাই। মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গল ও মিনার্ভার পয়েন্ট নষ্টের উপর। খালিদ জামিল থেকে শঙ্করলাল চক্রবর্তী— দুই প্রধানের কোচই বলছেন, ‘‘নিজেদের ম্যাচগুলো জিততে হবে। অন্য দল কী করছে তা নিয়ে পরে ভাবব।’’ ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে খেলতে রবিবারই গোয়া পৌঁছেছে মোহনবাগান।
সপ্তাহখানেক আগেও অবশ্য ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। আই লিগের খেতাবি দৌড়ে মিনার্ভা এফসি-কেই এগিয়ে রেখেছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ঘরের মাঠে প্রথমে ইস্টবেঙ্গল। তার পরে গোকলুম এফসি— পর পর দু’টো হার বদলে দিয়ে ছবিটা। লিগ টেবলের শীর্ষস্থান খুইয়ে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছেন চেঞ্চো গেলেৎসেন-রা।
সোমবার ঘরের মাঠে আইজলকে হারিয়ে চেঞ্চো-রা কি পারবেন শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করতে? কোচ খগেন সিংহ বলেছেন, ‘‘ফুটবলাররা প্রত্যেকেই দারুণ ভাবে উজ্জীবিত। তাই জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না।’’ আগের ম্যাচটা হারলেও আমাদের কোনও চাপ নেই।’’