মিনার্ভা ম্যাচের সেই ‘আগুন’ চাইছেন খালিদ

শুক্রবার রাতে ফুটবলারদের নিয়ে সেই ম্যাচের ভিডিও ক্লিপিংস দেখিয়ে লাল-হলুদ কোচ ফুটবলারদের বলেছেন, ‘‘ওদের কিছুতেই খেলতে দেওয়া যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৮
Share:

গোকুলমের হেনরি কিসেক্কার বিশ্বমানের গোল কলকাতায় দেখে গিয়েছেন খালিদ জামিল। মোহনবাগানের পর্যুদস্ত হওয়ার সেই ম্যাচে কী ভাবে কিসেক্কা আর মুদে মুসার যুগলবন্দি কেরল টিমকে জিতেয়েছিল, সেটাও মনে রেখেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।

Advertisement

শুক্রবার রাতে ফুটবলারদের নিয়ে সেই ম্যাচের ভিডিও ক্লিপিংস দেখিয়ে লাল-হলুদ কোচ ফুটবলারদের বলেছেন, ‘‘ওদের কিছুতেই খেলতে দেওয়া যাবে না। মিনার্ভা ম্যাচে যে মনোভাব নিয়ে আমরা খেলতে নেমেছিলাম সে রকমভাবেই সবাই মিলে ঝাঁপাতে হবে। এই ম্যাচ না জিতলে খেতাবের লড়াই থেকে ছিটকে যাব।’’ কোচের সেই সভার পরই লাল-হলুদ শিবির যেন বদলে গিয়েছে আরও। ম্যাচের আগের দিন রাতে এদুয়ার্দো ফেরিরা, আল আমনাদের মনোভাব ঠিকরে বেরোয় অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডলের গলায়। ‘‘আমাদের কাছে ব্যাপারটা অনেকটা হয় মরো, নয় মারোর মতো। মিনার্ভা ম্যাচের চেয়েও ভাল খেলতে হবে আমাদের।’’

খেতাব যুদ্ধে টিঁকে থাকার জন্য আজ, শনিবার গোকুলম এফ সি-র বিরুদ্ধে জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। লিগ টেবলের যা অবস্থা তাতে শীর্ষে থাকা নেরোকা এবং দু’নম্বরে থাকা মিনার্ভার সঙ্গে টক্কর দিতে গেলে ম্যাচে জেতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে আল আমনাদের। ঘরের মাঠে মহম্মদ রফিকের দুর্দান্ত গোলে বিনো জর্জের টিমকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। খালিদ সেই জয় নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ। উল্টে তাঁর সাফ কথা, ‘‘পরপর দু’টো ম্যাচ জিতে ওরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। আমরাও আগের ম্যাচ জিতেছি। প্রতিপক্ষকে সমীহ করেও বলছি, সবাই একশো ভাগ দিলে তিন পয়েন্ট পেতে অসুবিধা হবে না।’’ ইস্টবেঙ্গলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য ম্যানেজার হয়ে আসার পর ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে পোক্ত দেখাচ্ছে। লাল-হলুদের ঘরের ছেলে টিমের রক্ষণকে আজ, ম্যাচের আগে কিছু পরামর্শ দেবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন। বললেন, ‘‘কেরলের একটা ট্র্যাডিশনাল খেলা আছে। সেটাই খেলছে। মিনার্ভা ম্যাচটা জেতার পর ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে। জেতার জন্য খেলার পাশাপাশি একটু ভাগ্যও দরকার।’’

Advertisement

খালিদের টিমের কাছে যদি কালিকটের তীব্র গরম আজ বাধা হয়, তা হলে স্টেডিয়ামের ঘাস ইউসা কাতসুমি, আল আমনাদের মতো পাসারদের সুবিধা করে দেবে। সেটা মানছেন গোকুলম কোচও। এ দিন সকালে হঠাৎ-ই রটে যায় তাঁর চাকরি গিয়েছে। সেই রটনা উড়িয়ে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বিনু জর্জ বলেন, ‘‘আমরা নই, চাপে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ওদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চাপ রয়েছে। আমরা সুপার কাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য খেলছি।’’ যা মেনে নিয়ে খালিদের মন্তব্য, ‘‘চাপ তো সব ম্যাচেই থাকে। থাকবেও। আমাদের ভাল দিক টিমে কোনও চোট আঘাত নেই। তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তাই ঝাঁপাব।’’ কেরলের দুই ফুটবলার উবেইদ এবং জোবি জাস্টিন রয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে। দু’জনই থাকছেন আঠারো জনের তালিকায়। যা খবর তাতে গোলকিপার উবেইদ নামবেন শুরুতেই। এ দিন সকালে মূল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে ইস্টবেঙ্গল। মাঠ দেখে খুশি খালিদ। গোকুলমও অনুশীলন করে সেখানেই। ড্যানিয়েল অ্যাডো, সলমনরা তাই ছিলেন স্টেডিয়ামের আশেপাশে। সে জন্য ফুটবলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনুশীলন করান তিনি। প্রথম একাদশ বুঝতে দেননি। বললেন, ‘‘ম্যাচের দিন সকালে টিম করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement