জন্মদিন: উবেইদকে কেক খাইয়ে শুভেচ্ছা জবির। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
লালরাম চুলোভাকে নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটলেও, জনি আকোস্তা বৃহস্পতিবার খেলবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হল।
চোট সারিয়ে ফিরে চুলোভা মঙ্গলবার পুরোদমে শুধু অনুশীলনই করলেন না, লালরিনডিকা রালতে এবং খাইমে সান্তোস কোলাদোর সঙ্গে একের পর এক ফ্রি-কিক, কর্নার মারতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ইউসা কাতসুমি, চেঞ্চো গেলতসনকে আটকাতে তাঁকে ব্যবহার করতে তাই সমস্যা নেই আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের। খেতাব যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নেরোকা এফ সি-র বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচে রাইট ব্যাকে চুলোভা খেলবেন নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর লেফট ব্যাকে মনোজ মহম্মদকে সম্ভবত ফেরাতে চলেছেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ।
কিন্তু জনি আকোস্তাকে কি বৃহস্পতিবার খেলানোর ঝুঁকি নেবেন আলেসান্দ্রো? প্রথমত, কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার-এর তিনটি হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন। আর একটি হলুদ কার্ড দেখলে রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে নামতে পারবেন না। সেই ঝুঁকি কি নেবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ? দ্বিতীয়ত, এই ম্যাচটি জেতার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে হলে একমাত্র স্ট্রাইকার জবি জাস্টিনের সঙ্গে এনরিকে এসকুয়েদাকে খেলানো দরকার। প্রথম পর্বে মণিপুরে গিয়ে এনরিকের জোড়া গোলেই নেরোকাকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এনরিকেকে নামাতে হলে জনিকে বসাতে হবেই ইস্টবেঙ্গল কোচকে। ক্লাব সূত্রের খবর, জনিকে বসিয়ে সালামরঞ্জন সিংহকে খেলানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেক্সিকান স্ট্রাইকার এনরিকে শুরু করতে পারেন প্রথম এগারোয়। আলোসান্দ্রো এ দিন কথা বলেননি। ড্রেসিংরুমে গোলকিপার উবেইদের জন্মদিনের কেক কাটার উৎসবের পর চলে গিয়েছেন হোটেলে। তাঁর এক সহকারী বলছিলেন, ‘‘আলেসান্দ্রো কী দল গড়ছেন তা বোঝা যায় ম্যাচের দিন।’’ এ দিনও যুবভারতী সংলগ্ন মাঠের অনুশীলনে সে ভাবেই সবাইকে ছোট মাঠ করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছেন আলেসান্দ্রো। জোর দিয়েছেন কর্নার, ফ্রি কিক অনুশীলনে।
ইস্টবেঙ্গল যখন খেতাবি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন মোহনবাগানে বিদেশি ফুটবলার নিয়ে ডামাডোল। ইউতা কিনোয়াকি ইচ্ছেমতো নামছেন, মাঠে নামার ইচ্ছে না হলে বরফ বেঁধে বসে থাকছেন। চিকিৎসায় জাপানি মিডিয়োর কোনও চোট ধরা পড়েনি। তা-ও তিনি এ দিন অনুশীলন ম্যাচে খেলেননি। পায়ে বরফ বেঁধে বসেছিলেন মাঠের পাশে। খেতাবের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার পর সবুজ-মেরুনের শীর্ষ কর্তারা দল নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না। আইএসএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা দফায় দফায় আলোচনা করছেন পরের মরসুমে খেলা নিয়ে। সূত্রের খবর, দু’তিনটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বললেও কোনও স্পনসর এখনও চূড়ান্ত করতে পারেননি মোহনবাগান কর্তারা। এরই মধ্যে খালিদ জামিল অনুশীলন ম্যাচ খেললেন বরাহনগরের একটি দলের সঙ্গে। ম্যাচ কিছুটা সময় দেখতে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমকে। মোহনবাগানের পরের ম্যাচ চার্চিলের সঙ্গে শনিবার। এবং তা গোয়ার মাঠে।