সনিকে থামাতে মহড়া অর্ণবদের

সনি প্রচণ্ড গতিতে উইং দিয়ে বল নিয়ে উঠে কখনও কাট করে পেনাল্টি বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়েন। কখনও আবার সেন্টার করেন। সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করার প্রস্তুতিই সেরে রাখলেন খালিদ।

Advertisement

শুভজিৎ মজুমদার

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৪
Share:

অনুশীলনে মগ্ন সোনি নর্দি।

আই লিগ ডার্বির দিন যত এগিয়ে আসছে, সনি নর্দে-দের নিয়ে আতঙ্ক তত বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে! শুক্রবার সকালে অনুশীলনের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল সবুজ-মেরুনের সেরা অস্ত্রকে আটকানোর মহড়া।

Advertisement

প্রথম ম্যাচে আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে রক্ষণের ভুলে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া হওয়ার ধাক্কা যে এখনও সামলে উঠতে পারেননি খালিদ জামিল, তা স্পষ্ট। ২৮ নভেম্বরের রাতে যুবভারতীতে অনামী উইলিয়াম লালনুনফেলা মশাল নিভিয়েছিলেন। রবিবার সনির সঙ্গেই সামলাতে হবে দিপান্দা ডিকা ও আনুসুমানা ক্রোমাকে। যা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কোচের। এই পরিস্থিতিতে গোল করার চেয়ে গোল আটকানোই যে খালিদের প্রধান লক্ষ্য, গত দু’দিনের অনুশীলনেই স্পষ্ট। ইস্টবেঙ্গল কোচ নিজে তো অসংখ্য বার আইজল ম্যাচের ভিডিও রেকর্ডিং দেখেছেন। ফুটবলারদেরও ডেকে দেখিয়েছেন, কে কী ভুল করেছেন।

শুক্রবার সকালেও যুবভারতী স্টেডিয়াম সংলগ্ন অনুশীলন মাঠে দেখা গেল ওয়ার্ম আপের পরেই ডিফেন্ডারদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন লাল-হলুদ কোচ। শুধু তাই নয়। এ দিন রক্ষণ শক্তিশালী করতে আক্রমণের দুই ভরসা মহম্মদ আল আমনা, কাতসুমি ইউসাকেও ব্যবহার করলেন তিনি। আর স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজাকে রাখলেন সনির ভূমিকায়। এদুয়ার্দো ফেরেইরা, অর্ণব মণ্ডল-সহ বাকি ফুটবলারদের জন্য খালিদের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল— প্লাজাকে গোল করতে দেওয়া চলবে না।

Advertisement

সনি প্রচণ্ড গতিতে উইং দিয়ে বল নিয়ে উঠে কখনও কাট করে পেনাল্টি বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়েন। কখনও আবার সেন্টার করেন। সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করার প্রস্তুতিই সেরে রাখলেন খালিদ। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক ধরে চলল এই মহড়া। তার পর ফের ড্রেসিংরুমে জায়ান্ট স্ক্রিনে চলল আগের ম্যাচের ভিডিও রেকর্ডিও দেখা। কাতসুমি তো খোলাখুলিই বললেন, ‘‘সনি মোহনবাগানের প্রধান অস্ত্র। ওকে আটকাতেই হবে।’’

গত তিন বছর সনি-কাতসুমি যুগলবন্দিই ইস্টবেঙ্গলের আতঙ্কের কারণ ছিল। এ বছর লাল-হলুদে সই করেছেন জাপানি তারকা। এই মরসুমেও আই লিগ শুরু হওয়ার আগে গার্সিয়া মিরান্দার কাছে দু’জনে একসঙ্গেই ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন। রবিবাসরীয় যুবভারতীতেও কী হবে? কাতসুমি বলে দিলেন, ‘‘আমরা খুব ভাল বন্ধু। মাঠে ও মাঠের বাইরেও আমাদের মধ্যে খুব ভাল বোঝাপড়া রয়েছে। কিন্তু এ বার আমি সনির বিরুদ্ধে খেলব। বলা যেতে পারে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলব। তাই জেতা ছাড়া কিছুই ভাবতে চাইছি না এই মুহূর্তে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement