সুভাষের তোপ, খালিদের দাবি অসুস্থই ছিলেন 

তা হলে কি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মুম্বই ফিরে গিয়েছেন গত মরসুমে আইজল এফসি-কে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ! অবশেষে খালিদের সন্ধান পেল আনন্দবাজার।

Advertisement

শুভজিৎ মজুমদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮ ০৩:১০
Share:

জল্পনা: খালিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় বহাল। —ফাইল চিত্র।

ইস্টবেঙ্গলের তিনি কোচ। অথচ ডুডু ওমাগবেমি-রা সুপার কাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেও তাঁর দেখা নেই। তিনি, খালিদ জামিল হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেলেন? টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) সুভাষ ভৌমিক থেকে ক্লাবের শীর্ষ কর্তা— কারও ফোন ধরছেন না। তা হলে কি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মুম্বই ফিরে গিয়েছেন গত মরসুমে আইজল এফসি-কে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ! অবশেষে খালিদের সন্ধান পেল আনন্দবাজার।

Advertisement

বুধবার দুপুর একটা নাগাদ গোলরক্ষক কোচ আব্দুল সিদ্দিকি ও দুই সন্তানকে নিয়ে নমাজ পড়তে নিউ টাউনের ফ্ল্যাট থেকে বেরোলেন খালিদ। বললেন, ‘‘আমি অসুস্থ। জ্বর হওয়ায় দু’দিন ধরে অনুশীলনে যেতে পারিনি। সুস্থ হলেই অনুশীলনে যোগ দেব।’’ রাতেই খালিদ ক্লাব কর্তাদের জানালেন, ব়ৃহস্পতিবার সকালে অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন!

প্রশ্ন উঠছে, খালিদ আদৌ কি অনুশীলন করাতে পারবেন? বুধবার প্র্যাক্টিস শেষ করে ইস্টবেঙ্গলের টিডি সুভাষ ভৌমিকের হুঙ্কার, ‘‘খালিদ জামিল তো পেপ গুয়ার্দিওলা, জোসে মোরিনহো, স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন বা জুপ হেইঙ্কেস নন। তাই ও না এলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব উঠে যাবে না।’’ এখানেই শেষ নয়। আসিয়ানজয়ী কোচ যোগ করলেন, ‘‘আমি কিন্তু মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো ভদ্র নই। তাই চুপ করে বসে থাকব না।’’ তা হলে কি খালিদ-কে প্র্যাক্টিস করাতে দেবেন না? সুভাষ বলে দিলেন, ‘‘খালিদ যদি আসে, ওকে বলব মাঠের বাইরে বসে প্র্যাক্টিস দেখতে। তার পরে ওর সঙ্গে দল নিয়ে আলোচনা করার কথা ভাবব। ভুলে যাবেন না, আমার বাঁ পকেটে তিনটি আই লিগ ট্রফি রয়েছে। আর ডান পকেটে আছে দু’টো আন্তর্জাতিক ট্রফি।’’

Advertisement

অনুশীলনে না এলেও সুভাষের বার্তা খালিদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সব শুনে লাল-হলুদ কোচ বলছেন, ‘‘আমি শুধু ইস্টবেঙ্গলের ভাল চাই।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে কাজ করতে রাজি নন খালিদ। তাই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুশীলনে আসছেন না। ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ কর্তারা এ দিন সকালেও বলছিলেন, ‘‘খালিদ তো আমাদের কারও ফোন ধরছেন না। কখনও শুনছি, ওঁর ছেলে অসুস্থ। আবার কখন শুনছি, খালিদ নিজেই নাকি অসুস্থ। কোচ আমাদের কিছুই জানাচ্ছেন না। ইস্টবেঙ্গলে থাকবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখন খালিদ-কেই নিতে হবে।’’ রাতের দিকেই নাটকীয় ভাবে বদলে গেল পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, এ দিন ফুটবলারদের সঙ্গে দফায় দফায় ফোনে আলোচনা করেছেন খালিদ। তার পরেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন লাল-হলুদ কোচের। এখন দেখার সুভাষ তাঁকে অনুশীলন করাতে দেন কি না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন