যুবভারতী চাইলে টাকা দিতে হবে দুই প্রধানকে

প্রায় দেড়শো কোটি টাকা খরচ করে   যুবভারতীকে ঢেলে সাজানোর পরে রক্ষণাবেক্ষণের টাকা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সোমবার থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:২৩
Share:

যুবভারতীতে ম্যাচ করতে হলে এ বার থেকে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান আর বিনা পয়সায় স্টেডিয়াম পাবে না। তাদেরও ভাড়া দিতে হতে পারে। জমা রাখা হতে পারে পাঁচ বা দশ লাখ টাকা। দু’দলের সমর্থকরা স্টেডিয়ামের কোনও ক্ষতি করলে তা সারানোর জন্য খরচ করা হবে ওই জমা টাকা থেকেই। প্রাথমিক ভাবে এ সব নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দফতর।

Advertisement

প্রায় দেড়শো কোটি টাকা খরচ করে যুবভারতীকে ঢেলে সাজানোর পরে রক্ষণাবেক্ষণের টাকা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ক্লাবগুলোর কাছ থেকে টাকা চাওয়ার বিষয়টি। নতুন সাজে সেজে ওঠা যুবভারতী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশ ভাল পরিমাণ অর্থেরও প্রয়োজন। স্টেডিয়াম পরিচর্যা ছাড়াও রয়েছে নানা খরচ। সে সব নিয়ে আলোচনা করতে এ দিন একটি বৈঠকও হয়। তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্যারিস ওপেনে নেই রজার, এক নম্বরে সেই রাফা

Advertisement

এত দিন আই লিগ বা অন্য কোনও ম্যাচ করার জন্য দুই প্রধান বা আইএফএ কোনও টাকা দিত না। আলো জ্বালানোর খরচ হিসাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিত শুধু। তবে আইএসএলের ম্যাচের জন্য এটিকে-র কাছ থেকে দু’বছর আগে ম্যাচ প্রতি প্রায় আট লাখ টাকা করে নিয়েছিল ক্রীড়া দফতর। অন্য কোনও সংস্থা স্টেডিয়াম ভাড়া নিলেও দিতে হয়েছে অন্তত এক লাখ টাকা। ব্যতিক্রম ছিল শুধু দুই প্রধান ও আই এফ এ।

ফ্লাড লাইটে খেলা হলে যে টাকা দুই প্রধান দিত তা অবশ্য তারা ঘুরিয়ে পেয়ে যেত ফেডারেশনের কাছ থেকে। কারণ সংগঠনের জন্য ফেডারেশন ম্যাচ প্রতি এক লাখ টাকা দেয়। এ বার স্টেডিয়ামের ভাড়া দিতে হলে কী হবে? আই লিগের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনন্দ ধর বললেন, ‘‘আমরা যা দিই তা দেব। টিকিট বিক্রির টাকা তো ক্লাব পায়। বাড়লে ওরা নিশ্চয়ই ভাববে।’’

দুই প্রধানের শীর্ষ কর্তারা অবশ্য যুবভারতী নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হচ্ছে আই লিগ। তাদের বক্তব্য, ‘‘এখনও লিখিত আকারে কিছু পাইনি। কত টাকা চাওয়া হবে সেটাও জানি না। পেলে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসব।’’ নিজেদের মাঠ থাকলেও দুই প্রধানে আই লিগের পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি পুরোপুরি। লাল-হলুদে সব আছে, ফ্লাড লাইট নেই। আবার মোহনবাগানে ফ্লাডলাইট থাকলেও প্রতিপক্ষ দলের ড্রেসিংরুম, রেফারিদের ঘর, মেডিক্যাল রুম নেই। আবার সে সব যদি থাকতও তা হলেও প্রশ্ন উঠতে পারত ডার্বির সময় যুবভারতীর মতো বিশাল সংখ্যক দর্শক ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান মাঠে কী করে ধরবে?

যুবভারতী নিয়ে রাজ্য সরকারের পরিবর্তিত নীতির পরে দুই প্রধানের কর্তাদের মনোভাব কী দাঁড়াবে সেটাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন