অসুস্থ হাবিবকে সাহায্য ইস্টবেঙ্গলের

ময়দানের ‘বড়ে মিয়াঁ’ মহম্মদ হাবিব অসুস্থ। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তাঁর পাশে দাঁড়াতে প্রথম এগিয়ে এল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার ক্লাবের কর্মসমিতির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এক লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে হাবিবের হাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:১২
Share:

ময়দানের ‘বড়ে মিয়াঁ’ মহম্মদ হাবিব অসুস্থ। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তাঁর পাশে দাঁড়াতে প্রথম এগিয়ে এল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার ক্লাবের কর্মসমিতির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এক লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে হাবিবের হাতে। শুধু তাই নয়, আই লিগে মেহতাবদের প্রথম হোম ম্যাচে যে টাকা উঠবে তাও পাঠানো হবে সত্তরের দশকের মহা-তারকাকে। লাল-হলুদের উদ্যোগে হাবিবের বন্ধ থাকা পেনশনও চালু হয়ে গেল।

Advertisement

এ দিন ইস্টবেঙ্গল কর্মসমিতির সভার পর ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, ‘‘হাবিব আমাদের কাছে কোনও আর্থিক অনুদান চাননি। কিন্তু আমাদের প্রিয় ফুটবলার অসুস্থ শুনে কর্মসমিতির সদস্যরাই এক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন। তা ওঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’’

হায়দরাবাদের বাড়িতে এই মুহূর্তে পারকিনসন্স ও অ্যালঝাইমার্সের মতো দুই জটিল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হাবিব। অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত এই জাতীয় ফুটবলারের এই সম্মান বাবদ প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা পেনশন পাওয়ার কথা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তা পাচ্ছিলেন না। সে জন্য ইস্টবেঙ্গলকে সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন তিনি।

Advertisement

এ দিকে, আই লিগের জন্য শক্তিশালী দল গড়তে নেমে পড়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। ইতিমধ্যেই জ্যাকিচন্দ, রবিন গুরুং, ডেভিডদের সই করানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভাল মানের বিদেশিদের জন্যও ঝাঁপাচ্ছেন তাঁরা। বাংলাদেশে খেলা সনি নর্ডির দেশোয়ালি ওয়েডসন নিশ্চিত। সূত্রের খবর, আদিলেজার জায়গায় আটলেটিকো দে কলকাতার কানাডিয়ান স্ট্রাইকার ইয়ান হিউমের সঙ্গেও একপ্রস্ত কথাবার্তা হয়েছে ক্লাবের। তবে তা চূড়ান্ত নয়। গত বছরও হিউমের জন্য এগিয়েছিল ক্লাব। কিন্তু তাঁর আর্থিক চাহিদা বেশি থাকায় শেষ পর্যন্ত আর চুক্তি হয়নি।

লিগের ম্যাচ খেলাতে গেলেন না রেফারি: আইএফএ-র লিগ এখন হাসির খোরাক। সেটা আরও প্রকট হল বুধবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে রেফারি না আসায়। এ দিন কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচ ছিল কল্যাণী এবং বারাসতে। এফসিআই বনাম ডালহৌসি এবং পুলিশ এসি বনাম কালীঘাট এমএসের। এই ম্যাচের উপরই অবনমনের সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দু’টি মাঠে টিম পৌঁছে গেলেও যাননি রেফারিরা। স্বভাবতই ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়।

কেন ওই মাঠ দু’টিতে রেফারি যাননি? রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব চিত্তরঞ্জন দাস মজুমদারের যুক্তি বড় অদ্ভুত। তাঁর দাবি, ‘‘আইএসএলের জন্য অনেক রেফারি চলে গিয়েছে। তার উপর আবার একই দিনে অনেকগুলো ম্যাচ পড়ে গিয়েছে। তাই রেফারি পাঠাতে পারিনি।’’ কিন্তু আইএফএ-কে আগে থেকে এটা জানাননি কেন? তিনি বললেন, ‘‘সকালেই আইএফএ-কে জানিয়ে দিয়েছিলাম।’’ আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় আবার বললেন, ‘‘আমাকে ওরা জানিয়েছে দুপুর ১টা বেজে ৫৪ মিনিটে। ততক্ষণে তো বারাসত আর কল্যাণীতে টিম পৌঁছে গিয়েছিল। ম্যাচের সব আয়োজন হয়ে গিয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন