চমক: পালোমার জন্য এই কুকুরছানা নিয়ে এসেছেন ইস্টবেঙ্গলের এদুয়ার্দো ফেরিরা। নিজস্ব চিত্র
কোচ খালিদ জামিলের কড়া অনুশাসন সত্ত্বেও বড়দিনে ব্যতিক্রমী ছবি লাল-হলুদ অন্দরমহলে!
সোমবার বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে গোকুলম এফসি ম্যাচের প্রস্তুতির পরে লাল-হলুদ ড্রেসিংরুম থেকে ভেসে আসছিল ফুটবলারদের জয়োল্লাস। কেক কেটে, একে অপরের মুখে কেক মাখিয়ে বড়দিন পালন করলেন উইলিস প্লাজা, কেভিন লোবো-রা। তবে সকলকে চমকে দিলেন ডিফেন্ডার এদুয়ার্দো ফেরিরা।
লাল-হলুদের ব্রাজিলীয় তারকার বুকের কাছে ধরা কুকুরছানা। বড়দিনে বান্ধবী পালোমাকে বাদামি রঙের এই ক্রকার স্প্যানিয়াল উপহার দিয়ে চমকে দেওয়ার পরিকল্পনা এদুয়ার্দোর। বলছিলেন, ‘‘ম্যাচ খেলতে আমাদের প্রায়ই কলকাতার বাইরে যেতে হয়। পালোমা ফ্ল্যাটে একা থাকে। এর জন্যেই কুকুরছানা উপহার দিচ্ছি। আশা করি, পালোমার নিঃসঙ্গতা এ বার কাটবে।’’ পরিবারের নতুন সদস্যের নাম কী? হাসতে হাসতে এদুয়ার্দো জানালেন, নামকরণের দায়িত্ব পালোমার উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
আগের ম্যাচে চেন্নাই সিটি এসি-র বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পর থেকেই দমবন্ধকর পরিবেশ বদলে গিয়েছে লাল-হলুদ শিবিরে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বিতে হারের যন্ত্রণা ভুলে চার্লস ডি’সুজা, অর্ণব মণ্ডলরা ফের চনমনে। যদিও ইস্টবেঙ্গল কোচ উদ্বিগ্ন। কারণ, সেট-পিস থেকে গোল খাওয়া বন্ধ হচ্ছে না। সোমবার সে জন্য আলাদা অনুশীলনও করালেন তিনি। যেখানে দুই স্ট্রাইকার প্লাজা ও চার্লসকেও বিপক্ষ কর্নার পেলে নিজেদের বক্সে নেমে আসতে হচ্ছে। এ দিন দেখা গেল, অর্ণব, এদুয়ার্দো-দের সঙ্গে প্লাজা-রাও বল বিপন্মুক্ত করছেন।
উৎসবের আবহেও খালিদ ব্যতিক্রমী চরিত্র।