বিতর্কে পড়ে ফেসবুক থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ এলকো সতৌরি। যা তাঁর প্রতি দিনের, প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী ছিল গত কয়েক বছর।
ফেসবুকে চাকরির খোঁজ করতে গিয়ে ক্লাবে বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন লাল-হলুদের ডাচ কোচ। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, ডুডুদের ক্লাবে খুশি নন বলেই কি নতুন চাকরির খোঁজ? বিতর্ক শুরু হতেই ক্লাব কর্তারাও খোঁজ নিতে থাকেন কোনও সমস্যা হয়েছে কি না। যা অস্বস্তি বাড়ায় লাল-হলুদ কোচের।
এরই মধ্যে আবার এক ক্লাব কর্তার উপর ফেসবুকে বিরক্তি প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ইউবি-র কর্তা অমিত সেন। ক্লাবের নতুন কোচ নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এই অবস্থায় বিতর্ক বাঁচাতে এলকো এ দিন ফেসবুকে লেখেন, ‘‘কিছু সময়ের জন্য আমি ফেসবুক বন্ধ রাখছি। প্রয়োজন পড়লে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ই-মেল করতে পারেন।’’ আই লিগে পরপর ম্যাচে ব্যর্থতা, সঙ্গে ক্লাব ঘিরে নানা বিতর্কে এই মুহূর্তে জেরবার ইস্টবেঙ্গল। কোচ থেকে ফুটবলার, স্পনসর থেকে ক্লাব কর্তা— প্রত্যেকের ক্ষোভই বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। ঘনিষ্ঠমহলে এলকো নাকি বলেছেন, তিনি নিজের পছন্দ মতো টিম করতে পারছেন না বলে হতাশ। কোচিং স্টাফ নিয়েও বিরক্ত তিনি। সহকারী কোচ সুজিত চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সিনিয়র দলের দায়িত্ব থেকে। শোনা যাচ্ছে লাল-হলুদের অনেক কর্তাই টিমের ম্যানেজার অ্যালভিটো ডি’কুনহার উপর বিরক্ত। তাঁর ক্ষমতা কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। জানা গিয়েছে বুধবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বার থেকে দু’জন করে কর্ম সমিতির সদস্য টিমের সঙ্গে বাইরের ম্যাচে যাবেন। যাঁরা সব কিছুর উপর নজর রাখবেন। ফেসবুক বিতর্কের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের জন্য খারাপ খবর, চোটের জন্য প্রায় দু’সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেলেন গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরী। আগের রয়্যাল ওয়াহিংডো ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে।
শুক্রবারে আই লিগ
মোহনবাগান : সালগাওকর (বারাসত, ৪-৩০)