অপেক্ষা: গৃহবন্দি ভারত অধিনায়ক। শুক্রবার এই ছবি টুইট করলেন বিরাট।
স্তব্ধ হয়ে থাকা ক্রিকেট বিশ্বে এখন দুটো প্রশ্ন সাড়া ফেলেছে। এক, খেলা শুরু হলে কি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ হবে? দুই, কবে অন্তত অনুশীলনে নামতে পারবেন বিরাট কোহালিরা? দুটো প্রশ্নেরই কোনও জবাব নেই।
শুক্রবার থেকে বার্সেলোনার অনুশীলনে নেমে পড়লেন লিয়োনেল মেসিরা। দক্ষিণ কোরিয়ায় ফুটবল লিগ শুরু হল দর্শকশূন্য অবস্থায়। কিন্তু কোহালিদের নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কী পরিকল্পনা, তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি জট বাঁধছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও। এর আগে অস্ট্রেলীয় বোর্ড ইঙ্গিত দিয়েছিল, প্রয়োজনে দর্শকশূন্য অবস্থায় খেলা হতে পারে। এ দিন ডেভিড ওয়ার্নার আবার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়া কঠিন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমালের বক্তব্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন জল্পনা করে কোনও লাভ নেই।
গৃহবন্দি কোহালির সামনে তাই অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু ফাঁকা মাঠে খেলা নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য? ভারত অধিনায়ক মনে করেন, ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা হতেই পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সেই ‘জাদু’টা হয়তো হারিয়ে যাবে।
শুক্রবার একটি টিভি চ্যানেলে কোহালি বলেছেন, ‘‘দর্শকশূন্য অবস্থায় খেলা হতেই পারে। তবে এ রকম হলে জানি না আমরা কী ভাবে ব্যাপারটা গ্রহণ করব। আমরা সবাই তো দর্শকদের সামনে খেলতে অভ্যস্ত।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি জানি, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ হলেও ক্রিকেটারদের খেলার তীব্রতা কমবে না। সবাই নিজের সেরাটা দিতেই ঝাঁপাবে। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন গোটা স্টেডিয়ামে জুড়ে যে টেনশনের একটা আবহ তৈরি হয়, তার কী হবে? এই আবেগ, এই অনুভূতিগুলো তো আর কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা যায় না।’’
ভারত অধিনায়ক মনে করেন, দর্শকদের জন্যই মাঠে এমন, এমন সব মুহূর্ত তৈরি হয়, যা কখনও ভোলা যায় না। কোহালি বলেছেন, ‘‘খেলা হয়তো শুরু হবে। কিন্তু ভরা মাঠে, দর্শকদের সামনে খেলা হলে ব্যাপারটা অন্য রকম হয়। একটা মোহময় পরিবেশ তৈরি হয়। মনের মধ্যে যে জাদুর একটা অনুভূতি হয়, সেটা আর হবে না।’’ কোহালি আরও বলেন, ‘‘যে-ভাবে খেলা উচিত, আমরা সে-ভাবেই খেলব। কিন্তু সেই জাদুর মুহূর্তগুলো তৈরি হওয়া কঠিন।’’