ক্লাবের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এনরিকো পিপার্নোর সঙ্গে কিংবদন্তি ফুটবলার চুনী গোস্বামী। বুধবার। -নিজস্ব চিত্র
ভোট শুরুর আগেই একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন প্রদীপ চৌধুরী। ‘‘রিকো ৭৮-৩৪ ভোটের ব্যবধানে জিতবে।’’
বুধবার সাউথ ক্লাবের বহু প্রতিক্ষিত দুই টেনিস তারকার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে দেখা গেল একেবারে একশো শতাংশ মিলিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক।
জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে ফের ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন এনরিকো পিপার্নো। টানা তিন বার জিতলেন তিনি। তবে তিনি জিতলেও, উচ্ছ্বসিত নন। সাউথ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলছিলেন, ‘‘জয়দীপদা আমার মেন্টর। ওনাকে হারিয়ে আমি খুশি হব কী করে! কিন্তু জয়দীপদাকেও এটা বুঝতে হবে এ বার নতুনদের সুযোগ দেওয়ার সময়। আমাকেও তো এক দিন সরতে হবে।’’
এ দিনের নির্বাচন ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছিল ক্লাবে। প্রার্থীরা তো বটেই এমনকী ভোটারদের মধ্যেও প্রবল গুঞ্জন চলছিল, কে জিতবেন তা নিয়ে। প্রদীপ চৌধুরী তো নিজের জায়গা ছেড়েই উঠলেন না। যতক্ষণ ভোট প্রক্রিয়া চলল, ঠাঁয় বসে থাকলেন সিটে। উল্টো দিকের সিটে শ্যাম থাপা। চুনী গোস্বামী অবশ্য শুরু থেকেই নিশ্চিত ছিলেন পিপার্নো জিতবেন বলে। তাই ভোট দিয়েই পিপার্নোকে জড়িয়ে ধরলেন। আর বললেন, ‘‘এ বার কিন্তু আরও ভাল কাজ করতে হবে।’’ পিপার্নো তাঁর নতুন ইনিংসের শুরুতেই একজন সিইও নিযোগ করতে চান। তবে তার আগে আরও একটা কাজ ভেবে রেখেছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘কাল সকালে সবার আগে জয়দীপদাকে ফোন করব। উনি ফোন ধরুন বা না ধরন, আমি রিং করব।’’ আসলে জয়দীপবাবু এ দিন ভোটের ফল বেরোনোর আগেই বেরিয়ে যান। পিপার্নোর সঙ্গে আর দেখা হয়নি।