প্রত্যাবর্তন: কলকাতা বিমানবন্দরে বাবার সঙ্গে এনরিকে। নিজস্ব চিত্র
আই লিগে নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে দুর্দান্ত অভিষেক ঘটিয়েছিলেন এনরিকে এসকুয়েদা। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর যুবভারতীতে গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে ষষ্ঠ ম্যাচেই বিপর্যয়। পাঁজরে চোট পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠেই নামতে পারেননি তিনি। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আই লিগের প্রথম ডার্বির আগেই ফিরে যান মেক্সিকোয়। সোমবার সকালে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় ফিরলেও ফিরতি ডার্বিতে এনরিকের খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
লাল-হলুদ স্ট্রাইকার অবশ্য শহরে পা দিয়েই দাবি করলেন, চোট সারিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ। বললেন, ‘‘আই লিগে শুরুটা খুব ভাল করেছিলাম। হঠাৎ চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যাই। এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ। পরের ম্যাচে (ডার্বি) যাতে খেলতে পারি তার জন্য সব রকম চেষ্টা করব।’’
চোট পাওয়ার পরে মাস দেড়েক মাঠের বাইরে এনরিকে। অনুশীলনও করেননি সতীর্থদের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে কতটা কঠিন দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া? ২০০৫ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকো দলের অন্যতম সদস্য বললেন, ‘‘কলকাতায় দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারিনি ঠিকই। কিন্তু মেক্সিকোয় ব্যক্তিগত ফিজিক্যাল ট্রেনারের কাছে নিয়মিত ট্রেনিং করেছি।’’ পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া ও ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদারের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। এনরিকের কথায়, ‘‘ডার্বির আগে যদি আমি খেলার মতো অবস্থায় ফিরতে পারি, তা হলে নিজেই কোচকে বলব। তবে আমি খেলব কি না সেই সিদ্ধান্ত কোচই নেবেন।’’ দু’দিন বিশ্রামের পরে আজ, মঙ্গলবার থেকেই যুবভারতীতে ডার্বির প্রস্তুতি শুরু করবেন আলেসান্দ্রো। এনরিকেরও অনুশীলনে নেমে পড়ার কথা।
আই লিগের প্রথম ডার্বিতে মোহনবাগানকে ৩-২ হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। অসাধারণ গোল করেছিলেন জবি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত থাকায় এনরিকে সেই ম্যাচ দেখতে পারেননি। তবে আই লিগের মাঝপথে খালিদ জামিলের মোহনবাগান কোচ হওয়া থেকে ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাই সিটি এফসি-র শীর্ষে উঠে আসা— সব খবরই রয়েছে তাঁর কাছে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে কি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব? ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা লাল-হলুদ স্ট্রাইকারের কথায়, ‘‘আমাদের এখন সব ম্যাচ জিততে হবে। কিন্তু চেন্নাই যদি এ ভাবে জয়ের ধারা বজায় রাখে, তা হলেই সমস্যা।’’ এনরিকে উচ্ছ্বসিত জবিকে নিয়েও। তাঁর মতে অবিলম্বে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া উচিত জবির।
আগের ডার্বিতে মোহনবাগানের সনি নর্দেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি। এ বার আকর্ষণের কেন্দ্রে সনি বনাম এনরিকে দ্বৈরথ। লাল-হলুদ স্ট্রাইকার কিন্তু তা মানতে চান না। এনরিকে বলে দিলেন, ‘‘শেষ ডার্বিটার আগেও এ রকম বলা হচ্ছিল। কিন্তু আমি তা মনে করি না।’’
এ দিকে, কলকাতায় এনরিকের আগমনের দিনেই চুলের স্টাইল বদলে ফেললেন ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকার জবি জাস্টিন। দেখার, নতুন রূপে ফিরতি ডার্বিতে কতটা সফল হন তিনি।