ধোনির টিমে এগারো জনই এক্স ফ্যাক্টর

র‌্যাপিড ফায়ারের মুখে সচিন তেন্ডুলকর। এক টিভি অনুষ্ঠানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে মুখ খুললেন প্রথমবার...আমার বন্ধু সৌরভ এখন সিএবি প্রেসিডেন্ট। ও আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ১৯ মার্চ কলকাতা যাচ্ছি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩৭
Share:

প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। এ বার কোথায যাবেন?

Advertisement

সচিন: আমার বন্ধু সৌরভ এখন সিএবি প্রেসিডেন্ট। ও আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ১৯ মার্চ কলকাতা যাচ্ছি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে।

প্র: ‘গ্রুপ অব ডেথ’-এ নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত। কী হতে পারে?

Advertisement

সচিন: কনফিডেন্স লেভেলটা বেশ ভাল টিম ইন্ডিয়ার। তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সময় কম। একটা ভুলেই ম্যাচ শেষ। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রতি মুহূর্তে।

প্র: ডার্ক হর্স?

সচিন: নিউজিল্যান্ড। ম্যাকালাম প্রথম বল থেকে মারার যে ক্রিকেট ওদের শিখিয়েছে, উইলিয়ামসনরা সেই বিশেষ ঘরানার ক্রিকেটটাই খেলে।

প্র: পাকিস্তান দুর্বল?

সচিন: কে বলল? বাংলাদেশে টিমটা হয়তো আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিল। তার পরে টিম গুছিয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে দেশে ফিরে। হাফিজ, আফ্রিদি, আমির, রিয়াজরা লড়বে ভালই।

প্র: ভারতের শক্তি?

সচিন: দলে কোনও বাঁধাধরা ব্যাটিং অর্ডার না থাকা। সঙ্গে একাধিক ব্যাটিং ও বোলিং অলরাউন্ডার থাকা।

প্র: ২০০৭ আর এখনকার ধোনি?

সচিন: অনেক পরিণত। ইদানীং ওর ব্যাটে বল লাগলে যে শব্দটা হচ্ছে সেটা ফর্মে থাকার।

প্র: ধবন-রোহিত-বিরাট?

সচিন: তিন জনেই ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্যাটসম্যান। একে অন্যকে ছাপিয়ে যেতে চায়। ওদের দেখে অনেক প্রতিপক্ষেরই চাপ বাড়ে।

প্র: যুবরাজ-রায়না-ধোনি?

সচিন: দুর্দান্ত ফাইটার। সহজে হারে না। আস্কিং রেট বারো, চোদ্দ যাই হোক না কেন ঠিক তুলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

প্র: ভারতীয় বোলিং?

সচিন: নেহরা শুরুটা দারুণ করছে। সঙ্গে বুমরাহও ভাল। আর তার ফসল তুলছে হার্দিক পাণ্ড্য। অশ্বিন, জাডেজারাও প্রয়োজন হলেই উইকেট নিয়ে দলকে সাহায্য করছে। এ বার তিন পেসার দুই স্পিনার না তিন স্পিনার দুই পেসার— সেটা পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ বুঝে।

প্র: দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের সুবিধা?

সচিন: ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হলেই মাঠে নেমে জিতে যাবে নাকি? ফোকাস আর প্রস্তুতি ঠিক রাখতে পারলে ফল আসবেই। ২০১১-তে আমরা সেটাই করেছিলাম।

প্র: টিম ইন্ডিয়ার জন্য টিপস?

সচিন: দেশের জন্য মাঠে নামো।

প্র: অস্ট্রেলিয়া থেকে জিতে ফেরা, তারপর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ জয়, এশিয়া কাপ— একটু আগেই কি পিকে উঠে গেল ভারত? এটা কি ভয়ের?

সচিন: নেগেটিভ চিন্তা সরিয়ে ভাল বিষয়ে ফোকাস করতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।

প্র: চার সেমিফাইনালিস্ট?

সচিন: ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড। অজিদের অনেকে আইপিএল খেলে। তাই এখানকার পরিবেশ জানে। এবি ডে’ভিলিয়ার্সের দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ ব্যালান্সড টিম। ইংল্যান্ডেরও মর্গ্যান, বাটলার, হেলসদের সঙ্গে মইন আলিও ম্যাচ উইনার।

প্র: যুবরাজের প্রত্যাবর্তন?

সচিন: খারাপ সময় পিছনে ফেলে এসেছে যুবি। আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এখন ব্যাটে-বলেও টাইমিংটা ঠকঠাক হচ্ছে। সঙ্গে ফুটওয়ার্কটা বদলে নিয়ে যুবি বিশ্বকাপে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আভাস দিচ্ছে।

প্র: টিম ইন্ডিয়ার এক্স ফ্যাক্টর?

সচিন: ধোনির টিমে এগারো জনই এক্স ফ্যাক্টর।

প্র: ভয়?

সচিন: ইংল্যান্ডকে।

প্র: ছুপা রুস্তম?

সচিন: বুমরাহ। অ্যাকশনটা দেখলে বোঝা যায় না। খেলার পর বোঝা যায় ওর বলের জোর।

প্র: ভারত চ্যাম্পিয়ন হবে?

সচিন: আমরা জিতেছিলাম ২ এপ্রিল। এ বার ফাইনাল ৩ এপ্রিল। মনে হয় না সে বারের সঙ্গে এ বারের রেজাল্টে কোনও বদল হবে...

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন