ঠিক চার বছর আগে কিয়েভের সেই ফাইনাল এখনও ভোলেননি জিয়ানলুইগি বুফন। যেখানে তাঁর ইউরো জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল স্প্যানিশদের কাছে।
আর চার বছর পর ফের নক-আউটের প্রথম ধাপে স্পেনের মুখোমুখি বুফনের ইতালি। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালেই ঠিক হয়ে যাবে এ বারের ইউরোতে আন্তোনিও কন্তে না ভিসেন্তে দেল বস্কি কে ভেসে থাকবেন।
স্প্যানিশ কোচ দেল বস্কি যদিও গ্রুপের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার ক্রোয়েশিয়ার কাছে ১-২ হারের পরেও আশাবাদী। তিকিতাকা বনাম ওপেন ফুটবল— দুই বিশ্বজয়ী ফুটবল ঘরানার লড়াইয়ের আগে তিনি বলে দিয়েছেন, ‘‘ইতালি এমন একটা টিম যারা যে কোনও দিন জ্বলে উঠে সব ছবি বদলে দিতে পারে। এটা ঠিক যে নক আউটের শুরুতেই ইতালির সামনে পড়তে চাইনি। যে রাস্তা দিয়ে এগোতে চাইনি এখন সে রাস্তাই সামনে। ইতালির জন্য আমরা পুরোদমে তৈরি। টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাতে কোনও ত্রুটি হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বড় টুর্নামেন্টে কখনও কখনও এ রকম অঘটন ঘটে। আমাদের ভাগ্য ভাল যে অঘটনটা গ্রুপ লিগেই হয়েছে। কাজেই নক-আউটে এই ভুলগুলো শুধরে নিয়েই নামব আমরা।’’ যদিও ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে গিয়ে মিডিয়া প্রশ্ন করার আগেই বলে বসেন, ‘‘তা হলে আবার সেই ইতালি।’’
দেল বস্কি আত্মবিশ্বাসী হলেও কিন্তু আশ্বস্ত হতে পারছেন না স্প্যানিশ ফুটবল সমর্থকরা। ইউরোতে ২০০৪ সালের পর প্রথম হারল ইনিয়েস্তার দেশ। তাও আবার বিপক্ষ প্রথম একাদশের পাঁচ জনকে খেলায়নি। শুরুতেই আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে গিয়েও কী ভাবে দু’গোলে হজম করল স্প্যানিশ রক্ষণ, তা নিয়েই তুলকালাম স্পেনের মিডিয়া। একই সঙ্গে সোচ্চার র্যামোসের পেনাল্টি মিস এবং বিতর্কের মুখে থাকা গোলকিপার ডেভিড দে হিয়ার গোল খাওয়া নিয়েও।
আর স্প্যানিশ মিডিয়ার চিড়বিড়ানি আরও বেড়েছে শেষ মুহূর্তে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে ম্যাচ জেতানো ইভান পেরিসিচের জ্বালাময়ী বক্তব্যের পর। ইন্টার মিলানের এই ফুটবলারকে সামলাতে মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের শুরু থেকেই রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে স্প্যানিশ ডিফেন্সকে। ম্যাচ শেষে এই ক্রোট তারকা ফুটবলার আবার চিমটি কেটে বলে যান, ‘‘স্পেনের গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে! ভাবনাতেও ছিল না। সত্যিই এটা আমার জীবনের একটা বিশেষ মুহূর্ত।’’
আপাতত ম্যাচের ময়নাতদন্ত করতে বসে যা বেরিয়ে এসেছে তাতে পরিষ্কার ক্রোয়েশিয়ার কাউন্টার অ্যাটাকে উইং ভিত্তিক আক্রমণের কোনও অ্যান্টিডোট খুঁজে পায়নি পিকে-র্যামোসদের ব্যাক ফোর।