বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখালেন দু’দেশের প্রাক্তন খেলোয়াড়রা

খেলা দেখতে প্রচুর মানুষ মাঠে দুপুর থেকে ভিড় করেছিলেন। দু’দলেই খেলেছেন অতীতে কলকাতার বিভিন্ন দলে খেলা এবং ঢাকাতে খেলা ফুটবলাররা। মাঠ দাপানো খেলা দেখে একবারও মনে হয়নি যে বয়স্করা মাঠে খেলছেন।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

গোপালনগর শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৭ ১০:৪০
Share:

পায়ে-পায়ে: খেলার একটি মুহূর্ত। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

খেলা তখন শেষ হতে মাত্র এক মিনিট বাকি। বক্সের বাইরে থেকে গোল করলেন ওপার বাংলার ফুটবলার আব্দুল আলিম খান। মাঠে উপস্থিত প্রায় হাজার পনেরো দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানালেন তাঁকে। যা দেখে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন ওপার বাংলার আব্দুল। হাত নেড়ে তিনিও দর্শকদের কতৃজ্ঞতা জানালেন।

Advertisement

রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা বয়স্ক ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত দু’দেশের বয়স্ক ফুটবলারদের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশনের মাঠে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বয়স্ক একাদশ ও ওপার বাংলার গোপালগঞ্জ সোনালি অতীত একাদশের মধ্যে খেলা হয়।

খেলা দেখতে প্রচুর মানুষ মাঠে দুপুর থেকে ভিড় করেছিলেন। দু’দলেই খেলেছেন অতীতে কলকাতার বিভিন্ন দলে খেলা এবং ঢাকাতে খেলা ফুটবলাররা। মাঠ দাপানো খেলা দেখে একবারও মনে হয়নি যে বয়স্করা মাঠে খেলছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বোল্টই অনুপ্রেরণা, দৌড় জিতে বললেন গ্যাটলিন

আব্দুল অতীতে বাংলাদেশের নাম করা ফুটবলার ছিলেন। এ দেশে এই প্রথমবার খেলতে এসেছেন। খেলা শেষে বলেন, ‘‘এখানে দর্শকদের এত ভালবাসা পাব, ভাবতে পারিনি।’’

দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা একাদশের চন্দন রাঠৌর। অতীতে তিনি জাতীয় লিগে মুম্বই এফসি দলের হয়ে খেলেছেন। এ ছাড়াও ইস্টবেঙ্গলে খেলা তরুণ সরকার, মোহনবাগানে খেলা অমর দেবনাথদের খেলা দর্শকদের মন জয় করেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দলের ফুটবলার স্বপন বিশ্বাস বলেন, ‘‘দর্শকেরা শুধু আমাদের দলকে উৎসাহ দেননি। তাঁরা বাংলাদেশের দলকেও সমান উৎসাহ দিয়েছেন। এ ধরনের খেলা যত বেশি হবে দু’দেশের মানুষের সম্পর্ক আরও ভাল হবে।’’ স্কুল শিক্ষক সুশান্ত মোদক খেলা দেখতে গিয়ে বলেন, ‘‘বয়স্কদের খেলা হলেও এত ভাল খেলা অনেকদিন পর দেখলাম।’’ মাঠে জায়গা না পাওয়ায় পাশের বাড়ির ছাদের উপর বসেও অনেকে খেলা দেখেছেন। ওপার বাংলার দলের খেলোয়াড় ও ম্যানেজার সৌকত হোসেন বলেন, ‘‘এখানে এত বাংলাদেশি মানুষের বসবাস যে নিজের দেশে খেলতে এসেছি বলেই মনে হচ্ছে। দেশের অনেক বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন