Jhulan Goswami

ইডেনের বল গার্ল থেকে লর্ডসের ফাইনাল, অকপট ঝুলন গোস্বামী

সেলিব্রিটি হতে চাননি তিনি কখনওই। অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন ঝুলন গোস্বামী।সেলিব্রিটি হতে চাননি তিনি কখনওই। অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন ঝুলন গোস্বামী।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২০
Share:

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ঝুলন গোস্বামী।

মেয়েটা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে ভালবাসে! বৃষ্টিতে একা একা হাঁটার মধ্যে অদ্ভুত এক আনন্দ খুঁজে পায়! আবার সেই মেয়েটাই বল হাতে লর্ডসের মাটিতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের এক এক করে প্যাভেলিয়নে পাঠায়। এই তিনের মিশেলই আসলে ঝুলন।

Advertisement

আরও খবর: বিশ্বকাপ শেষে ঝুলন-মিতালিদের রিপোর্ট কার্ডে কী থাকল?

নদিয়ার চাকদহের বাড়ি থেকে ছোট্ট মেয়েটি বেরিয়ে পড়ত কিট ব্যাগ কাঁধে। ভোর ৪.৪৫-এর লোকালে চেপে শিয়ালদহ, সেখান থেকে বিবেকানন্দ পার্ক। সঙ্গে দৌড়ত ক্রিকেটার হওয়ার একঝাঁক স্বপ্ন। এক দিন নয়, প্রতি দিন। আর প্রতি দিনই ওই ট্রেনের ফুলওয়ালি মাসি ঝুলনকে শিখিয়ে গিয়েছেন ‘জীবন যুদ্ধ’। আজ তাই ইডেনের ডাগ আউটে বসে তিনি সদর্পে বলতে পারেন, ‘‘আমার কাছে মানুষ হওয়াটাই আসল। আমি সেলিব্রিটি হতে চাইনি কখনও।’’

Advertisement

কী বললেন ঝুলন?

১৯৯৭-এর ইডেনে মহিলা বিশ্বকাপ ফাইনালে ‘বল গার্ল’। কুড়ি বছর পর সেই মেয়েরই লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে বল হাতে তিন উইকেট। বিশ্ব ক্রিকেটে মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট তাঁরই দখলে। অনেকটা লম্বা সফর।

সাফল্যের রাস্তাটা কী?

দৃঢ় ঝুলনের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘এখনও আমি একশো শতাংশ সফল কোথায়?’’ কাঁটাটা বোধহয় এখনও বিঁধে আছে। এত কাছে গিয়েও সেই বিশ্বকাপ হাতে উৎসব করা হল না যে! ৩৪ বছরে দাঁড়িয়ে তিনি আজ জানেন না পরের বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কি না। তবুও চারটে বিশ্বকাপ খেলা ওই মেয়ের কাছে ক্রিকেটই তো ধ্যান-জ্ঞান! পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেই জায়গাটা করে দিতে চান, যা পেতে তাঁকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে।

আরও খবর: লর্ডসে চাকদহ এক্সপ্রেস

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement