কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।—ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের সূচি জেনে গিয়েছেন শুক্রবার। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সরেজমিনে দেখে গেলেন ইংল্যান্ড, চিলে, ইরাক এবং মেক্সিকো-র প্রতিনিধি দল। ক্রীড়াসূচিতে এই চার টিমই রয়েছে গ্রুপ ‘এফ’-এ। যে গ্রুপের পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে কলকাতায়। যুবভারতী ঘুরে দেখার পর তাঁদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিশ্বমানের স্টেডিয়াম এবং মাঠ। কলকাতার স্টেডিয়াম নিয়ে কোনও অভিযোগ করার জায়গাই নেই।’’
এ দিন সকাল দশটার কিছু পরেই যুবভারতীতে এআইএফএফ-কর্তাদের সঙ্গে যুবভারতীতে হাজির হন এই চার দেশের প্রতিনিধি দল। যে দলে ইংল্যান্ড ও চিলের তিনজন করে প্রতিনিধি থাকলেও ইরাক ও মেক্সিকোর তরফে কলকাতায় এসেছিলেন দু’জন করে। চারটি টিমের এই দশজন প্রতিনিধি ঘুরে দেখেন মাঠ, ড্রেসিংরুম, অনুশীলনের মাঠ। যাদের মধ্যে ছিলেন চিলের কোচ হার্নান কাপুতো, ইংল্যান্ড কোচ স্টিভন কুপার, মেক্সিকোর সহকারী কোচ এনরিকে পেরেজ।
স্টেডিয়াম ও তার চারপাশ ঘুরে দেখার পর চিলে কোচ কাপুতো বলেন, ‘‘অক্টোবর শুরুর দিনেই কলকাতা চলে আসবে দল। আয়োজক দেশ বাদে বাকি তেইশটি দলই এই বিশ্বকাপে খেলছে বাছাই পর্বের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে। সুতরাং এই টুর্নামেন্টে কোনও সহজ বা কঠিন টিম বলে কিছু নেই।’’ গত কয়েক বছরে বিশ্ব ফুটবলের মঞ্চে চিলের নজরকাড়া সাফল্যের কথা উল্লেখ করে কাপুতো বলে যান, ‘‘চিলের সিনিয়র টিমের সাপ্লাই লাইন এই অনূর্ধ্ব-১৭ টিম। আশা করা যায়, টুর্নামেন্টে ভাল পারফর্ম করার সুযোগ রয়েছে।’’
মাসখানেক আগেই দক্ষিণ কোরিয়াতে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। সেই সাফল্য স্টিভন কুপারের টিমে প্রত্যাশার চাপ বাড়াচ্ছে কি না তা জানতে চাওয়া হলে ইংল্যান্ড কোচ বলে দেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-২০ দলের সাফল্য আমার টিমে চাপ বাড়ানোর বদলে অনুপ্রেরণাই বেশি দিচ্ছে। আর যদি চাপ থাকেও সেই চাপ উপভোগ করছি আমরা।’’ ইংল্যান্ড কোচ জানান, অক্টোবরের আগেই পরিবেশের সঙ্গে মানাতে ভারতে চলে আসবে তাঁর দল। মেক্সিকোর সহকারী কোচ এনরিকে পেরেজ বলেন, ‘‘পরিকল্পনা মতো এগোলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’’