সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন এ ভাবেই হেনস্থা হতে হয়েছে কলম্বিয়ার মহিলা সাংবাদিককে।
মহিলা সাংবাদিককে বিশ্বকাপের লাইভ কভারেজ চলাকালীন যৌন হেনস্থা নিয়ে রাশিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন একজন অপরিচিত যেভাবে অশালীন আচরণ করেছেন, তার পর প্রশ্ন উঠছে মহিলা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও। এবং তা সার্বিকভাবে বিশ্বকাপের নিরাপত্তাকেই দাঁড় করাচ্ছে প্রশ্নের মুখে।
ঘটনাটি ঘটেছে সারানস্ক শহরে। জুলিয়েথ গঞ্জালেজ থেরান নামে কলম্বিয়ার এক মহিলা সাংবাদিক সরাসরি সম্প্রচারে ছিলেন। তিনি কাজ করছিলেন এক জার্মান টিভির স্প্যানিশ নিউজ চ্যানেলের হয়ে। কথা বলার সময়ই ফ্রেমে ঢুকে আসেন এক বড়সড় চেহারার ব্যক্তি। করেন শ্লীলতাহানি। চুম্বন করেন গালেও। তারপর হাসিমুখে বেরিয়ে যান।
জুলিয়েথ ওই পরিস্থিতিতেও পেশাদারি কর্তব্য পালন করেন। জার্মান টিভির তরফে পরে ইনস্টাগ্রামে এই ঘটনার ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। তারা এটাকে ‘যৌন আক্রমণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন: ‘আজ আর্জেন্টিনা পেনাল্টি পেলে এগিয়ে যাক মেসিই’
জুলিয়েথও পরে এই ঘটনার ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, “রেস্টপেক্ট করুন। এমন আচরণ মোটেই কাম্য নয়। আমরা সবাই পেশাদার, সমান মূল্যবান। ফুটবল থেকে আনন্দ আমিও পাই। তবে কতটা আনন্দ করা যায়, তার সীমা জানতে হবে। তা যেন মাত্রাছাড়া হয়ে হেনস্থা না হয়ে ওঠে।”
পরে এই ব্যাপারে জার্মান টিভিতে আলোচনায় তিনি বলেন, “সম্প্রচারের জন্য দু’ঘন্টা ধরে আমি ওখানে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তখন কোনও বাধা পাইনি।আমরা যখন লাইভ করছিলাম, তখন এই ব্যক্তি পরিস্থিতির সুযোগ নেন। কিন্তু, পরে আমি ওখানে খুঁজেও তাঁকে দেখতে পাইনি।”
আরও পড়ুন: অনুশীলনে ফ্রি-কিক, স্বস্তি ফেরালেন নেমার
অনেক সময়েই মহিলা সাংবাদিকরা এমন ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন না। তবে গত কয়েক বছরে মহিলা সাংবাদিকদের ওপর হেনস্থা বেড়ে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ লিগ চলাকালীন সীমানার ধারে এক মহিলা সাংবাদিককে 'ডোন্ট ব্লাশ বেবি' বলেছিলেন ক্যারিবিয়ান মহাতারকা ক্রিস গেইল। যা নিয়ে প্রবল বিতর্কও হয়েছিল। শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল 'ইউনিভার্স বস' গেইলকে।
রাশিয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত অবশ্য আলাদা। এখানে ফুটবলপ্রেমীর হাতে লাঞ্ছনার মুখে পড়তে হয়েছে মহিলা সাংবাদিককে। আর সেটাও প্রকাশ্যে, দিনের আলোয় সরাসরি সম্প্রচার চলাকালনীন। ফলে এই ঘটনা বিশ্বকাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলছে।