Fifa World Cup 2018

বিয়ার থেকে আচার, কোন টিম কী কী নিয়ে রাশিয়া গেল

জার্মানি এনেছে বিয়ার। আর্জেন্তিনা এনেছে পর্ক, বিফ। সঙ্গে রয়েছ চিনা চা। যা পছন্দ ঊরুগুয়েরও। কে বলে বিশ্বকাপ মানে শুধু সবুজ ঘাসেই যুদ্ধ!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৮ ১৫:২৮
Share:

গ্রাফিকঃ শৌভিক দেবনাথ

কে বলে বিশ্বকাপ শুধুই ফুটবলের। কাপ-যুদ্ধ তো খাওয়া-দাওয়ারও!

Advertisement

শুধু মাঠেই বিশ্বসেরা হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। মাঠের বাইরেও থাকে লম্বা হোমওয়ার্ক। থাকে দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা। তাই কোনও দল রাশিয়া এসেছে ১৮ হাজার লিটার বিয়ার নিয়ে। কোনও দল এনেছে চার টন আচার। কেউ এনেছে চিনের বিখ্যাত মা দাই চা। কোরিয়া আবার সঙ্গে এনেছে চার টন আচার।

গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির খাবার মেনুতে যেমন রয়েছে সসেজ আর বিয়ার। জাতীয় দলের শেফ বিশ্বকাপের সময়ের ডায়েট প্ল্যান করেছেন রীতিমতো গবেষণা করে। তাঁরা রাশিয়ায় আগে পৌঁছে স্থানীয় খাবার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছে। সেই মতোই তালিকা বানিয়েছে। গত ১২ জুন ওজিল, ক্রুস, মুলারদের সঙ্গে একই উড়ানে রাশিয়ায় এসেছে প্রায় ১৮ টন খাদ্যসামগ্রী। এর মধ্যে বিয়ার ছাড়াও ৭০০ কেজি সসেজ এবং ৩০০ কেজি আলু রয়েছে।

Advertisement

আর্জেন্তিনা এনেছে তিন টন খাবার। যার মধ্যে রয়েছে বিফ, পর্ক ও কনডেন্‌সড মিল্ক। লিয়োনেল মেসি আর লুই সুয়ারেজ বার্সেলোনায় যতই সতীর্থ হন, বিশ্বকাপে তাঁরা লাতিন আমেরিকার দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ। তার মধ্যেও রয়েছে মিল। আর্জেন্তিনা ও উরুগুয়ে, দু’দলেরই পছন্দ মা দাই চা। উচ্চ ক্যাফিনওয়ালা এই চিনা চা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। উরুগুয়ে সঙ্গে এনেছে ১৮০ কেজি মা দাই চা। আর্জেন্তিনা যে তিন টন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছে তার মধ্যে রয়েছে এই চা-ও।স্থানীয় খাবার পরখ করে দেখার ঝুঁকি নিচ্ছেন না মেসিরা। ফুটবলাররা যাতে সুস্থ থাকেন, সে দিকে লক্ষ রাখতেই এই ব্যবস্থা।

ব্রাজিল ফুটবল দলের অবশ্য খাবার নিয়ে কোনও বায়নাক্কা নেই। তবে নেমাররা ঠান্ডা জায়গায় থাকতে চাননি। তাই সোচিতে আস্তানা গড়া হয়েছে তাঁদের। এক বছর আগেই সোচি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে ট্রেনিংয়ের মাঠ তৈরি করে ফেলেছিল ব্রাজিল ফুটবল সংস্থা, যাতে ঠিকঠাক মাঠ না পাওয়ার সমস্যা মিটে যায়। খেলোয়াড়দের বান্ধবী বা স্ত্রীদের টিম হোটেলে থাকায় কোনও বিধিনিষেধ নেই ব্রাজিল দলে। যা আবার জার্মান শিবিরে রয়েছে। তবে ব্রাজিল দল বদলে ফেলেছে হোটেলের ইন্টিরিয়র ডিজাইন। নিয়ে ফেলেছে স্থানীয় হোটেলগুলোর অর্ধেক ঘরই।

ইংল্যান্ড শিবিরের চাহিদা আবার একটাই। হোটেলের ঘরে যেন ‘লাভআইল্যান্ড’ নামের রিয়েলিটি শো দেখতে পাওয়া যায়। শোনা যাচ্ছে, অধিনায়ক হ্যারি কেন ও ড্যানি রোস এই শো-র ভক্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন