কপিলের সেই বিশ্বজয় নিয়ে সিনেমা

১৯৮৩ থেকে ২০১৭— লর্ডসের ড্রেসিংরুমে আবার হাজির হচ্ছে কপিল দেবের বিশ্বজয়ী টিম। চৌত্রিশ বছর পর! তবে বাস্তবে নয়, সিনেমার পর্দায়। আগামী বছর মার্চে শ্যুটিং ফ্লোরে যাচ্ছে কপিল’স ডেভিলস নিয়ে বায়োপিক ‘১৯৮৩’। যৌথ প্রযোজনায় অনুরাগ কাশ্যপ-মধু মান্টেনার ‘ফ্যানটম ফিল্মস’ এবং হায়দরাবাদের শিল্পপতি বিষ্ণু বর্ধন ইন্দুরি।

Advertisement

সায়ন আচার্য

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৬ ০৪:২০
Share:

১৯৮৩ থেকে ২০১৭— লর্ডসের ড্রেসিংরুমে আবার হাজির হচ্ছে কপিল দেবের বিশ্বজয়ী টিম। চৌত্রিশ বছর পর!

Advertisement

তবে বাস্তবে নয়, সিনেমার পর্দায়।

আগামী বছর মার্চে শ্যুটিং ফ্লোরে যাচ্ছে কপিল’স ডেভিলস নিয়ে বায়োপিক ‘১৯৮৩’। যৌথ প্রযোজনায় অনুরাগ কাশ্যপ-মধু মান্টেনার ‘ফ্যানটম ফিল্মস’ এবং হায়দরাবাদের শিল্পপতি বিষ্ণু বর্ধন ইন্দুরি। দিনকয়েক আগেই মুম্বইয়ে বিশ্বকাপজয়ী দলের গেট টুগেদার-এ ছবিতে সম্মতি দিয়েছে কপিল বাহিনী। শুরু হয়েছে কাস্টিং এবং পরিচালক খোঁজার কাজ। বাজারে গুঞ্জন, কপিল হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে অর্জুন কপূর। পরিচালনায় থাকতে পারেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ খ্যাত কবীর খান।

Advertisement

চমকের এখানেই শেষ নয়। যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হারিয়ে পঁচিশে জুনের সন্ধ্যায় ইতিহাস গড়েছিল ভারত, সেই দলেরই এক সদস্য যুক্ত হতে পারেন এই ছবির সঙ্গে। ভদ্রলোকের নাম? স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস।

ছবির অন্যতম প্রযোজক মধু মান্টেনা ভিভের জামাই। গত বছর নভেম্বরে বিয়ে করেছেন ভিভ-কন্যা মাসাবাকে এবং সে কারণেই হয়তো ছবির শ্যুটিংয়ের সময় নেওয়া হতে পারে ভিভ রিচার্ডসের কিছু টিপস। যদিও এ ব্যাপারে মান্টেনা নিশ্চুপ। তবে অন্য প্রযোজক বিষ্ণু হায়দরাবাদ থেকে আনন্দবাজারকে জানালেন, কাস্টিং ঠিক হলেই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করবেন তাঁরা। ‘‘ওঁরা কেউই পর্দায় আসবেন না। তবে যেহেতু এটা ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ের ছবি তাই ভিভিয়ান রিচার্ডসদের মতামত খুব গুরুত্বপূর্ণ, ’’ বলছিলেন বিষ্ণু।

ভাবনাটা মাথায় এসেছিল বছর চারেক আগে। বিষ্ণু তখন ব্যস্ত নিজের সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল) নিয়ে। হঠাৎ আলাপ কপিল দেবের সঙ্গে। এবং তখনই কপিলকে নিজের ইচ্ছের কথা জানান তরুণ এই শিল্পপতি। কিন্তু বেঁকে বসেন কপিল। সাফ জানিয়ে দেন ছবি নিয়ে তিনি এই মুহূর্তে আগ্রহী নন। তবু হাল ছাড়েননি বিষ্ণু। ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছেন কপিলের সঙ্গে। সিসিএলের ফাঁকে যোগাযোগ রেখেছেন কাপজয়ী টিমের আর এক সদস্য বলবিন্দর সিংহ সাঁধুর সঙ্গে।

শেষ পর্যন্ত বরফ গলে মাস কয়েক আগে। সাঁধুর মারফত কপিল জানান, তিনি বায়োপিকে রাজি। সম্মতি দেওয়া সত্ত্বেও অবশ্য সন্দিহান ছিলেন অধিনায়ক। ‘‘আসলে তিরাশির বিশ্বকাপ ভারতীয়দের কাছে রূপকথার মতোই। কপিল একটু চিন্তায় ছিলেন আদৌ এই প্রজন্মের দর্শক তাঁদের বড় পর্দায় দেখতে আগ্রহী হবেন কি না,’’ বললেন বিষ্ণু।

ছবি নিয়ে অবশ্য প্রবল উৎসাহী কপিলের টিমমেটরা। ‘‘ওই জয়টা ভারতীয় ক্রীড়াজগতেরই মো়ড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এত দিন পর ছবি হচ্ছে সেটাই খুব আনন্দের,’’ চেন্নাই থেকে বলছিলেন সেই দলের ওপেনার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। মাস দু’য়েকের মধ্যেই কাস্টিং ফাইনাল করতে চান প্রযোজকরা, এবং তার পরেই শুরু হবে ইংল্যান্ডে স্পট খোঁজার কাজ।

তাঁরা সবে টস জিতেছেন, ম্যাচ শুরু এ বার!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement