এস্তার স্তাবুলি। যার বাঁশি মহিলা রেফারিংয়ের রেভলিউশন আনতে চলেছে। ছবি: ফিফা।
ভারতের মাটিতে নতুন ইতিহাস লিখেছিল ফিফা। ছেলেদের টুর্নামেন্টে প্রথম মহিলা সহকারি রেফারি নিযুক্ত করে। এ বার আরও একটি ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারতীয় ফুটবল তথা কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গন। ১৪ অক্টোবর কলকাতার মাটিতে জাপান বনাম ক্যালেডোনিয়া ম্যাচে প্রথম কোনও মহিলাকে দেখা যাবে রেফারির ভূমিকায়। এসথার স্তবলির বাঁশিতেই শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের এই ম্যাচ।
আরও পড়ুন
ভবিষ্যতের নেইমার আজ ভারতের বিরুদ্ধে
ফিফা আয়োজিত পুরুষদের টুর্নামেন্টে এই প্রথম। এক তো ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ এই দেশের জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। ভারতীয় ফুটবলে রেভলিউশন আনতে পারে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। কিন্তু তার মধ্যেই নতুন পরিকল্পনা করেছিল ফিফা। ভারত বিশ্ব ফুটবলের আরও একটি রেভলিউশনের সাক্ষী থাকল। তাদের আয়োজিত ছেলেদের কোনও টুর্নামেন্টে এই প্রথম মহিলা রেফারি নিযুক্ত করা হল। প্রায় সব ম্যাচেই দেখা গেল মহিলা চতুর্থ রেফারিকে ফ্ল্যাগ হাতে মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত।
৫২টি ম্যাচের জন্য ৭৭ জন রেফারি নিযুক্ত করেছে ফিফা। আর এই ৭৭ জনের মধ্যে ৭ জন মহিলা রেফারি। সাত মহাদেশ থেকে সাতজন মহিলা রেফারিকে বেছে নেওয়া হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য। ৬ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের ছ’টি ভেন্যুতে চলবে এই টুর্নামেন্ট। ভারতের জন্য যেমন এটা একটা বিরাট প্রাপ্তি। ঠিক তেমনই মহিলা রেফারিদের জন্যও নতুন অভিজ্ঞতা। ফিফা এক বার্তা জানিয়েছিল, ‘‘ফিফা সাতজন সাপোর্ট রেফারি বেছেন নিয়েছে কিন্তু সেখানে একটা চমক রয়েছে। বিশ্ব ফুটবলে এই প্রথম ছেলেদের টুর্নামেন্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সাতজন মহিলা সহকারি রেফারিকে। আর একসঙ্গে বাকি ৭০ রেফারির সঙ্গে সমানে সমানে নিজেদের তৈরি করেছে মহিলা রেফারিরাও।’’
আরও পড়ুন
প্রতি মাসের প্রথম বুধবার মালি দলের ড্রয়িংরুমে হাজির বলিউড
ভারতের মাটিতে প্রথম ম্যাচ থেকেই তাঁরা তাঁদের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ফিফা রেফারি হেড মাসিমো বুসাকা তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন, ‘‘এই পরিবর্তনের কথা আমরা অনেক আগে থেকেই ভাবছি। কিন্তু এ বার বাস্তবের মাটিতে তার প্রয়োগ করতে পারলাম। মহিলা রেফারিরা আগে পুরুষ রেফারিদের সঙ্গে ট্রেনিং করেছে। কিন্তু এ বার একসঙ্গে কাজ করল।’’