Emiliano Martínez

বিশ্বকাপের পর দীর্ঘ দিনের ক্লান্তি কাটাতে কী করতেন মার্তিনেস?

মার্তিনেসকে দলে পেতে আগ্রহী ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম, চেলসি, জুভেন্তাস, ইন্টার মিলানের মতো ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলি। আগামী গ্রীষ্মেই সম্ভবত জার্সি বদল করবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৪৫
Share:

বিশ্বকাপের ক্লান্তি কাটাতে কী করতেন জানিয়েছেন মার্তিনেস। ছবি: টুইটার।

দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ক্লাবের হয়ে খেলতে ইংল্যান্ড চলে এসেছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। লন্ডনের ফিরে ক্লান্তি কাটাতে টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা ঘুমোতেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক।

Advertisement

বিশ্বকাপে দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন মার্তিনেস। উচ্ছ্বসিত হলেও শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন লিয়োনেল মেসির প্রিয় দিবু। সেই ক্লান্তি কাটাতে ইংল্যান্ডে ফেরার পর দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন কয়েক দিন। মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘ব্রিটেনে ফেরার পর রাতে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমিয়ে ছিলাম। সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালেই হয়তো হত। আসলে আমার প্রচুর অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়েছিল।’’

বিশ্বকাপের পর থেকেই ফুটবল বিশ্বের আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে যেমন নজর কেড়েছিলেন, তেমন একাধিক বিতর্কেও জড়িয়ে ছিলেন তিনি। তাঁকে দলে পেতে আগ্রহী ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম, চেলসি, জুভেন্তাস, ইন্টার মিলানের মতো ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলি। আগামী গ্রীষ্মেই সম্ভবত জার্সি বদল করবেন মার্তিনেস।

Advertisement

নিজের সম্পর্কে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘একটা সময় নিজেকে যথেষ্ট ভাল গোলরক্ষক মনে করতাম না। যেমন গোলরক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম, তেমন হতে পারছিলাম না। যদিও ছোট থেকেই প্রতিভাবান ছিলাম। ইংল্যান্ডের বড় ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছি কম বয়সে। তাও সফল ফুটবলজীবন গড়ে তোলা এবং আর্জেন্টিনার এক নম্বর গোলরক্ষক হওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্ন দেখতাম না।’’ এ কথা জানালেও বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য, মেসির হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের ফলেই বিশ্বকাপের পর ক্লান্ত ছিলেন, সেই ক্লান্তি কাটানোর জন্য দিনে ১৪-১৫ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকতেন।

অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও বিশ্বকাপের সাফল্যের পর তিনি চান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলে এমন কোনও ক্লাবে খেলতে। প্রিমিয়ার লিগের একাধিক ক্লাব তাঁর এজেন্টের সঙ্গে কথা শুরু করেছে। ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের দাবি, মার্তিনেসের সাপ্তাহিক বেতন হতে চলেছে ১ লক্ষ পাউন্ড বা ১ কোটি টাকার বেশি। কোন ক্লাব তাঁর সঙ্গে এই বিপুল অঙ্কের চুক্তি করতে চলেছে, তা অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। সব কিছু ঠিক মতো চললে আগামী দিনে বিশ্বের অন্যতম দামি গোলরক্ষক হতে চলেছেন কাতার বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন