ক্লাব বিশ্বকাপে রেফারিদের সঙ্গে থাকবে ‘বডি ক্যাম’। ছবি: ফিফা।
ফিফার নতুন সিদ্ধান্ত। এ বার ক্যামেরা নিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করবেন রেফারিরা। ক্লাব বিশ্বকাপে রেফারিদের সঙ্গে থাকবে ভিডিয়ো ক্যামেরা বা ‘বডি ক্যাম’। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের সার্জেন্টরা যে ধরনের ‘বডি ক্যাম’ ব্যবহার করেন, অনেকটা তেমন ক্যামেরা নিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করবেন রেফারিরা। ফুটবলের একটি নিয়ম পরিবর্তনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। গোলরক্ষকেরা ৮ সেকেন্ডের বেশি বল ধরে রাখলে কর্নার পাবে প্রতিপক্ষ দল।
ক্লাব বিশ্বকাপ হবে এক মাস ধরে। অংশগ্রহণ করবে ৩২টি দল। এ বারই প্রথম এই প্রতিযোগিতা হবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতার মতো করে। এই প্রতিযোগিতাতেই ফুটবলপ্রেমীরা খেলা দেখতে পাবেন রেফারির চোখে। অর্থাৎ, একজন রেফারি মাঠে যে ভাবে খেলা বা ফুটবলারদের গতিবিধির উপর নজর রাখেন, দর্শকেরাও সে ভাবে দেখতে পাবেন। ফিফার আশা, ‘বডি ক্যাম’-এর ব্যবহার ফুটবলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে দর্শকদের কাছে। আগামী ১৪ জুন শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। ফাইনাল হবে ১৩ জুলাই। আমেরিকার ১১টি শহরে ১২টি স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলি।
আমেরিকায় হবে ক্লাব বিশ্বকাপ। প্রতিযোগিতার জন্য মোট ১১৭ জন ম্যাচ অফিশিয়ালের তালিকা ঘোষণা করেছে ফিফা। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন রেফারি, ৫৮ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভিডিয়ো ম্যাচ অফিশিয়াল বা ভিএআর রেফারি। ৪১টি দেশের ম্যাচ অফিশিয়ালেরা ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন।
ফিফার রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান পিয়েরলুইজি কলিনা বলেছেন, ‘‘মূলত দর্শকদের কথা ভেবেই রেফারিদের ‘বডি ক্যাম’ দেওয়া হবে। এর ফলে দর্শকেরা ফুটবল দেখার নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। এমন কিছু ছবি তাঁরা দেখতে পাবেন, যা আগে কখনও তাঁরা দেখেননি। একই সঙ্গে রেফারিদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে ‘বডি ক্যাম’-এর ছবি। তা ছাড়া রেফারিরা ম্যাচ পরিচালনার সময় কী দেখছেন, তা-ও অনেকটা বোঝা যাবে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ।’’
উল্লেখ্য, গত ৬ মে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং ক্রিস্টাল প্যালেস। সেই ম্যাচে ‘রেফক্যাম’ পরে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন জারেড জিলেট। রেফারির ঠিক কানের পাশে ‘রেফক্যাম’ বসানো হয়। এই বিশেষ ক্যামেরার মাধ্যমে রেফারির দৃষ্টিকোণ থেকে কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে এবং রেফারি কী ভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ করে থাকেন, তা বোঝার চেষ্টা করা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে বুন্দেশলিগাতেও ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল।
শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারই বাড়ছে না, বদলাচ্ছে খেলার একটি নিয়মও। ক্লাব বিশ্বকাপে গোলরক্ষকেরা ৮ সেকেন্ডের বেশি বল ধরে রাখলে কর্নার পাবে প্রতিপক্ষ দল। এখন গোলরক্ষক ৮ সেকেন্ডের বেশি বল ধরে রাখলে প্রতিপক্ষ দল ফ্রি-কিক পায়।