ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট তথা বিজেপি নেতার মন্তব্যে সীমান্তে অশান্তির আঁচ ক্রিকেট মাঠে এসে পড়েছিল আগেই। এ বার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব এল ওয়াঘার ও পার থেকে। পাক ক্রিকেট মহল বলছে, ভারত তো সুযোগ পেলেই পাকিস্তানকে এড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কারণে আইসিসি-র হস্তক্ষেপও অনুরাগ ঠাকুর গত কাল পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ভাবেই ক্রিকেট খেলবে না ভারত। আর এ দিন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক মহম্মদ ইউসুফ তার জবাবে বলে দিলেন, ‘‘আমি ঠিক বুঝতে পারছি না উনি কী বলতে চাইছেন। শেষ আট বছরে যখনই ভারত পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কথা হয়েছে, ভারত তখনই এড়িয়ে গিয়েছে। এমনকী যখন দু দেশের সম্পর্ক ভালও ছিল, তখনও।’’ এখানেই থেমে থাকেননি ইউসুফ। ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়ায় সরাসরি আইসিসির হস্তক্ষেপ দাবি করছেন এই প্রাক্তন পাক ব্যাটসম্যান। বলেছেন, ‘‘আইসিসি সবসময়েই বলে তাঁরা কোনও রকম রাজনৈতিক বা সরকারি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক বক্তব্যই পেশ করেছেন। ওঁকে রাজনীতি বা ক্রিকেটের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে।’’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও পিসিবির এক কর্তা এই বক্তব্যে তাঁর অসূয়া প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণ ভাবে একটা রাজনৈতিক বক্তব্য। আমরা খুবই হতাশ কারণ বহু দিন ধরেই আমরা ভারতের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। আমরা বরাবর ক্রিকেট এবং রাজনীতিকে আলাদা রাখায় বিশ্বাসী।’’
প্রাক্তন পাক স্পিনার আব্দুল কাদিরও দাবি করেন, পাকিস্তান বরাবর ক্রিকেট থেকে রাজনীতিকে দুরে রাখতে চেয়েছে কিন্তু ভারত তা চায় না। কাদিরের আরও অভিযোগ, বিসিসিআইয়ে এখন রাজনীতিবিদদেরই সংখ্যা বেশি। ‘‘ভারত এমনিতেই আমাদের সঙ্গে বহু বছর খেলেনি। সুতরাং এই বিবৃতির আলাদা করে কোনও তাৎপর্য নেই। আমার মনে হয় পিসিবির এ বার ভাবা উচিত, ভারতের মাটিতে আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টের গ্রুপ ম্যাচে পাকিস্তান খেলবে কি না,’’ বলেন কাদির। প্রাক্তন পাক স্পিনারের আরও বক্তব্য, আইসিসি সব সময়ে গ্রুপে ভারত-পাক ম্যাচ রেখে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে এবং আসন্ন চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতেও একই সূচি। ‘‘এ বার ভারতের পিছনে ছোটা বন্ধ করার সময় এসেছে,’’ হুঙ্কার দিয়েছেন কাদির।