স্থানীয় ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আগ্রহ বাড়াতে নিখরচায় ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এগরা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা। ওই সংস্থার দাবি, সারা রাজ্যে একমাত্র তারাই বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ দেন। এখন সেখানে ১৩৭ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ২০০২ সালে মেদিনীপুর ভাগ হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হয়। কয়েক মাস পরেই কাঁথি মহকুমা ভেঙে এগরা মহকুমা তৈরি হয়। তৈরি হয় মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা। তার পর সব বিভাগেই পরিকাঠামো নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। ২০১১ সালে মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পুরসভার ময়দানে নিখরচায় ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবির চালু করে। সংস্থার সম্পাদক কল্যাণ দাস বলেছেন, ‘‘চার মহকুমার মধ্যে এগরা পরিকাঠামোগত ভাবে পিছিয়ে। টাকা নিলে শিবিরে ছেলে আসবে কম। ক্রিকেটে আগ্রহ বাড়াতে শিক্ষার্থীদের তাই নিখরচায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’’
পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগ করেছেন ক্রীড়া সংস্থার কোচ অশোক জানাও। তিনি বলেন, ‘‘এখানে টাকা খরচ করে কেউ ক্রিকেট খেলা শিখতে আসবে না। এমনকী ক্রিকেটের ‘কিট’ বা সরঞ্জামও কিনবে না। তাই সংস্থার পক্ষ থেকেই তাদের প্যাড, গ্লাভস ও হেলমেট দেওয়া হয়।’’ তিনি জানান, পরিকাঠামো, টাকার অভাবের মধ্যেও সিএবির জেলা স্কুল ক্রিকেটে (অনূর্ধ্ব ১৪) এগরা জে এল হাইস্কুল’ পরপর দু’বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছে।
বিনামূল্যে শিবির চালাতে গিয়ে আর্থিক সমস্যা রয়েছে ক্রীড়া সংস্থার। সিএবি থেকে মাসে ছ’টি বল সাহায্য মেলে। বাকি খরচ জোগাতে হিমসিম খায় সংস্থা। অশোকবাবু জানিয়েছেন, শিবির শুরুর সময় সিএবি নেট ও দু’সেট ক্রিকেট ‘কিট’ দেয়। বর্তমানে ছ’সেট সরঞ্জাম রয়েছে। ছেলেদের কথা ভেবে প্রতি দিনই শিবির চলে। তাই খরচ ভালই হয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুর ময়দানের চারপাশে খোলা নালা রয়েছে। খেলার সময় সেখানে পড়ে বল ভিজে যায়। ভেজা বলে খেললে বল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। পুরসভাকে নালাগুলো ঢেকে দেওয়ার জন্য বহু বার জানিয়েও কাজ হয়নি।’’ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক কল্যাণ দাস বলেন, ‘‘স্থানীয় ছেলেমেয়েদের কথা ভেবেই নিখরচায় এই প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। ক্রীড়া সংস্থার পরিকাঠামোর উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সাহায্য পেলে শিবির চালাতে সুবিধে হয়’।