গোলের পর ঘানা ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
শেষ হয়ে গেল ভারতের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ অভিযান। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ঘানার কাছে ৪-০ গোলে হেরে বিশ্ব অভিযান শেষ করতে হল লুই নর্টন দে মাতোসের ছেলেদের। বিশ্বকাপে এটাই ভারতের সর্বাধিক ব্যবধানে হার। এর আগে আমেরিকার কাছে ৩-০ গোলে এবং কলম্বিয়ার কাছে ২-১ গোলে হারতে হয়েছিল ভারতকে।
তবে, এ দিন ভারত হারলেও অভিজিৎ সরকার-আনোয়ার আলিদের খেলায় খুশি ভারতীয় ফুটবলের দুই কিংবদন্তি বিদেশ বসু এবং মানস ভট্টাচার্য।
ম্যাচ শেষে মানস বলেন, “প্রথমার্ধে ভাল খেললেও, দ্বিতীয়ার্ধে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি জীতেন্দ্র সিংহ-বরিস সিংরা। প্রথমার্ধে যে গতিতে ভারতীয় দল খেলেছিল সেই গতি ম্যাচের শেষ অর্ধে ধরে রাখতে পারেননি অনিকেত যাদবরা।”
আরও পড়ুন: দিল্লিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে নিল মালি
আরও পড়ুন: কলকাতার মাটিতে বাঁশি মুখে ছেলেদের বিশ্বকাপে প্রথম মহিলা রেফারি
অন্য দিকে, শারীরিক সক্ষমতার প্রসঙ্গ তুলে বিদেশ বসু বলেন, “ঘানার যুব দল শারীরিক ভাবে ভারতীয়দের তুলনায় যথেষ্ট শক্তিশালী। ওঁদের দৌহিক গঠন, শারীরিক সক্ষমতা এবং গতির কাছেই মূলত হার মানতে হয় ভারতকে।”
অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় দলকে একই রকম ট্রেনিং দিয়ে এবং আরও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিলে নোংদাম্বা নাওরেম, লালেংমাউয়ারা যে ভবিষ্যতে ভারতীয় ফুটবলের সম্পদ হয়ে উঠবে, তাও এ দিন মনে করিয়ে দেন দুই তারকা ফুটবলার।
উন্নতমানের ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি, প্রতি খেলোয়াড়ের শারীরিক পরীক্ষা করে প্রত্যেকের সঠিক খাদ্যতালিকাও যে প্রয়োজনও তাও এদিন মনে করিয়ে দেন দুই ফুটবল বিশেষজ্ঞ।