কাঞ্চনজঙ্ঘা সংস্কারে বরাদ্দ পঁচিশ কোটি

মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমাদের ভাল ক্রীড়াঙ্গন দরকার। ক্রীড়াঙ্গনের ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক এবং গ্যালারি অটুট রেখে বেশ কিছু সংস্কার করা হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৩
Share:

কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সংস্কারে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার।

আশির দশকে শহরের একটি বড় জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গন। কিন্তু এতদিন পরেও রয়ে গিয়েছে পরিকাঠামো সংক্রান্ত নানা সমস্যা। তাই এ বার ক্রীড়াঙ্গনটিকে আন্তর্জাতিক মানের হিসেবে তৈরি করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। বুধবার পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন ক্রীড়াঙ্গন ঘুরে দেখলেন। প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচা করে আধুনিক করে তোলা হবে ৪০ হাজার আসন বিশিষ্ট এই ক্রীড়াঙ্গনটিকে। তবে ক্রিকেটের জন্য চলছে অন্য ময়দান বাছাই। এর আগে কলকাতায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনও সংস্কার করা হয়েছে। ফিফার অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ শুরুর আগে হয়েছিল সেই কাজ। সেটিও রাজ্য সরকারের তরফেই করা হয়েছিল।

Advertisement

পরে মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমাদের ভাল ক্রীড়াঙ্গন দরকার। ক্রীড়াঙ্গনের ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক এবং গ্যালারি অটুট রেখে বেশ কিছু সংস্কার করা হবে।’’ মন্ত্রীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামটিকে আধুনিক করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন। এতদিন সেটি ক্রীড়াঙ্গণ কমিটির হাতে ছিল। বিভিন্ন সময়ে স্টেডিয়ামের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছে ওই কমিটি। এ বার স্টেডিয়ামটিকে যুবকল্যাণ দফতরে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

কী কী সংস্কার করা হবে? গৌতম দেব জানান, আলো, জল, নিকাশি থেকে শুরু করে সবকিছুই বদলানো দরকার। সেই সময় ভাল কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। সেই কারণে শহরের একেবারে মাঝখানে কিছু হলেই যানজট শুরু হয়ে যায় সংলগ্ন রাস্তাগুলোয়। জট রুখতে একটি পার্কোম্যাট তৈরির কথাও ভাবা হয়েছে। স্টেডিয়াম সংস্কারের পাশাপাশি একই জায়গায় টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, বাস্কেটবলের পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। মন্ত্রী জানান, সবকিছু নতুন করে সমীক্ষা করেই কাজ করা হবে। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন বলেন, ‘‘এমনিতে রনজি বা আইলিগের খেলা এখানে হয়। কিন্তু আধুনিক করে গড়ে তুললে সব ডিভিশনের সব খেলাই এখানে করা সম্ভব। কী কী রয়েছে, আর কী কী প্রয়োজন তা দেখে গেলাম।’’

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ক্রীড়াঙ্গনের নকশা ও বিস্তারিত তথ্য সচিবের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না বলেই আশ্বাস তাঁর। তবে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করার কাজ সমীক্ষার পরে শুরু হবে। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সিরাজ দানেশ্বর জানান, স্টেডিয়াম কমিটির হাত থেকে সেটিকে রাজ্যের হাতে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন অডিট থেকে শুরু করে হস্তান্তরের বাকি প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন