কোচ ল্যাঙ্গারের সঙ্গে দেখা করলেন স্টিভ ওয়। অ্যাডিলেডে। গেটি ইমেজেস
ভি ভি এস লক্ষ্মণের বইতে যখন তাঁকে নিয়ে ফের বিতর্কের ঝড় উঠেছে, তখনই ফের মাঠে উদয় ঘটল তাঁর। অ্যাডিলেডে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার নেট প্র্যাক্টিসে হাজির তিনি।
কে তিনি? না, গুরু গ্রেগ চ্যাপেল। অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করতে দেখা গেল অধিনায়ক টিম পেনের সঙ্গে। এমন একটা সময়ে যখন ভারতীয় ক্রিকেট মহলে ফের তাঁকে নিয়ে ঝড় তুলেছেন এক মহাতারকা। লক্ষ্মণের বই নিয়ে যদিও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি গুরু গ্রেগের মুখ থেকে। তবে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার নেই বলেই অস্ট্রেলিয়াকে বাতিলের খাতায় না ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছেন, বরাবরে সেই সহজে হার-না-মানা অস্ট্রেলিয়াকে এ বারেও দেখা যাবে। গ্রেগ চ্যাপেল একা নন, অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে দেখা গেল আর এক কিংবদন্তি স্টিভ ওয়কেও। কোহালিদের বিরুদ্ধে কঠিন সিরিজের আগে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করার জন্যই সম্ভবত এসেছিলেন তাঁরা।
স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নার না থাকার মধ্যেই অভিনব পদক্ষেপ করেছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড। তারা দু’জন সহ-অধিনায়ক বেছে নিয়েছে। জশ হেজলউড এবং মিচেল মার্শ। এবং, গুরু গ্রেগের যে একেবারে তাতে হাত নেই, বলা যাচ্ছে না। তিনি এখন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের জাতীয় স্তরে ট্যালেন্ট ম্যানেজার এবং অন্যতম নির্বাচক। একটি ওয়েবসাইটকে গ্রেগ বলেছেন, ‘‘জশ হেজলউড আর মিচেল মার্শের মধ্যে পরিণতি বোধ রয়েছে। অধিনায়ক টিম পেনকে ওরা ভাল সহায়তা দিতে পারবে। দলে দু’জন সহ-অধিনায়ক থাকাটা একটা বাড়তি সুবিধে।’’
কঠিন সময়ে নেতৃত্বের নকশার উপর গুরুত্ব দিতে চাইছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে থাকছে কী কী জিনিস? গ্রেগের জবাব, ‘‘দেশের মাটিতে খেলাটা নিশ্চয়ই বড় সুবিধে দেবে।’’ তার পরেই যোগ করছেন, ‘‘আমাদের বোলিং আক্রমণ ভাল। দলে প্রত্যয়ী কয়েক জন ব্যাটসম্যানও রয়েছে। তাই লড়াই থেকে যে অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে আসবে না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’’
আরও পড়ুন: মিশন অস্ট্রেলিয়া, অ্যাডিলেডে কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম
ভারতের পেস আক্রমণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন গ্রেগ। বলেছেন, ‘‘ভারতের হাতে এখন বিশ্বমানের পেস আক্রমণ আছে। সেটা আমরা ইংল্যান্ড সফরেই দেখেছি। অস্ট্রেলীয় পরিবেশেও ওরা দুর্দান্ত লড়াই করবে বলেই আমার মনে হয়। আমি আগেও বলেছি, বিদেশে ভাল করতে গেলে ভারতের ভাল পেসার দরকার। সাম্প্রতিককালে সেটা ওরা পেয়েছে এবং তার ফলও হাতেনাতে পাচ্ছে।’’ মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মার মতো পেসার থাকার পাশাপাশি অশ্বিন ও জাডেজার মতো স্পিনারও আছে ভারতের হাতে। অস্ট্রেলিয়ার তরুণ প্রজন্মের উপর যদিও আস্থা রাখছেন গ্রেগ। মনে করছেন, পরীক্ষায় সফল হওয়ার মতো রসদ তাঁদের আছে।