শেন ওয়ার্নের কথাটা প্রবাদ হয়ে গিয়েছে।
১৯৯৮-এ শারজায় সচিনের হাতে তুলোধোনা হওয়ার কয়েক বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার বলেছিলেন, ‘‘আমি দুঃস্বপ্নে সচিনকে দেখতে পাই।’’ পরে যদিও ওয়ার্ন বলেন, তিনি মজা করেছিলেন।
তবে সে যাই হোক, ওয়ার্নের মতোই এ বার আর এক অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি দুঃস্বপ্নে আর এক ভারতীয় ক্রিকেটারকে দেখার কথা স্বীকার করলেন। তিনি রিকি পন্টিং। আর দুঃস্বপ্নে যাঁকে দেখেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্যাপ্টেন, তিনি হরভজন সিংহ।
‘‘ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে আমার সবচেয়ে বড় শত্রু ছিল হরভজন। এখনও আমি দুঃস্বপ্নে হরভজনকে দেখতে পাই,’’ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন পন্টিং।
টেস্টে হরভজন দশ বার পন্টিংকে আউট করেছেন। যার মধ্যে তিন বার শূন্য রানে। পান্টারের বিরুদ্ধে যে রেকর্ড অন্য কোনও বোলারের নেই। হরভজন যে কতটা বিপদে ফেলে দিতেন পন্টিংকে, সেটা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট গড় দেখলেই বোঝা যায়। পন্টিংয়ের টেস্ট গড় ৫১.৮৫। সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে পন্টিংয়ের টেস্টে ব্যাটিং গড় ২২.৩০। যার পিছনে হরভজনের হাত যে কম ছিল না। তাই ভারতীয় অফস্পিনার যে ৩০০ নম্বর টেস্ট উইকেটের সেলিব্রেশনটাও পন্টিংয়ের উইকেট নিয়ে সারবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
শুধু হরভজন নয়। সংবাদসংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পন্টিং কথা বলেন ক্রিকেটের বর্তমান প্রজন্ম নিয়েও। বিশেষ করে বিরাট আর স্টিভ স্মিথ। দুই তারকা ব্যাটসম্যানের মধ্যে কে সেরা, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে পন্টিং বলে দেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কে সেরা সেটা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমার বরং ওদের খেলা দেখতেই ভাল লাগে। এ ছাড়াও আরও কয়েক জন ক্রিকেটার কিন্তু এখন আছে যাদের কেরিয়ারের পথ একই রকম এগোচ্ছে।’’
তবে এদের মধ্যে কোহালিকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন পন্টিং, ‘‘এই বয়েসে কোহালির ওয়ান ডে কেরিয়ার দুর্দান্ত। গত মরসুমে আইপিএলে ওর পারফরম্যান্স (চারটে সেঞ্চুরি) তো আমরা সবাই জানি। ও আল্ট্রা-স্কিলড আর প্রতিভাবান প্লেয়ার। তার চেয়েও বড় কথা ওর অ্যাটিটিউডটা। যে আমাকে সেরা হতেই হবে। দেশেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়ও সেরাটা দেয় ও।’’
কোহালি আর সচিনের মধ্যে তুলনা করা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। পন্টিং অবশ্য বললেন, ‘‘বিরাট আগে কেরিয়ার শেষ করুক। তার পর এটা নিয়ে কথা বলব। বিরাট এখনও তরুণ। কালই ওর একটা খারাপ চোট লাগতে পারে। তার পর হয়তো একটাও ম্যাচ খেলতেই হয়তো পারল না। তখন তো সচিনের ২০০ টেস্ট খেলার সঙ্গে বিরাটের ৫০-৬০টা টেস্ট খেলার তুলনা হবে না। তাই এখনই বিরাট আর সচিনকে নিয়ে কোনও তুলনায় যাব না।’’