Hasin Jahan

রাতপোশাকেই ঘর থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ: হাসিন

হাসিনের অভিযোগ, অনেক অনুনয়ের পর পুলিশ পোশাক বদলাতে দেয়। কিন্তু বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁর শিশুকন্যা এবং আয়াকে ঘুম থেকে তুলে ডিডৌলি থানাতে নিয়ে আসে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৪৭
Share:

পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ হাসিনের। —ফাইল চিত্র

মাঝরাতে ঘরে ঢুকে পুলিশ রাতপোশাকেই তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করে হাসিন জাহানকে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন।

Advertisement

সোমবার বিকেলে আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর তিনি ফোন করেন তাঁর কলকাতার আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতাকে। তাঁকে গ্রেফতারির বিষয়ে সবিস্তার জানিয়েছেন তিনি। অনির্বাণ বলেন, ‘‘হাসিন উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় শামির পৈত্রিক বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার প্রয়োজনে। রবিবার বিকেলেই সেখানে নিজের মেয়ে বেবো এবং মেয়ের আয়াকে নিয়ে আমরোহায় পৌঁছন তিনি।’’ অনির্বাণকে হাসিন ফোনে জানিয়েছেন, শামির পৈত্রিক বাড়ির চত্বরেই একটি অংশ শামি এবং তিনি নিজেদের টাকায় বানিয়েছিলেন। সেই অংশের চাবিও তাঁর কাছেই রয়েছে। সেখানে তাঁর সমস্ত জিনিসপত্র গয়নাগাটিও রয়েছে। সেখানেই রবিবার সন্ধ্যায় ওঠেন হাসিন।

আইনজীবীকে হাসিন জানিয়েছেন, ‘‘আমরা যাওয়ার পর থেকেই আমার শাশুড়ি আঞ্জুমারা এবং দেওর মহম্মদ কায়েফ নানা রকম কথা বলতে শুরু করে চিৎকার করতে থাকেন। আমি প্রথমে কোনও পাত্তা দিইনি। আমি আমার মতো ঘরে ছিলাম। ওরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশও আসে। আমি পুলিশকে বুঝিয়ে বলি। ওরা চলে যায়।”

Advertisement

আরও খবর: শামির উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার স্ত্রী হাসিন জাহান

আরও খবর: হার্দিক হ্যারিকেন সত্ত্বেও যে সব কারণে মুম্বই বধ করল কলকাতা

হাসিনের অভিযোগ, তখনকার মতো চলে গেলেও মাঝরাতে ফের হাজির হয় পুলিশ। তিনি অনির্বাণকে বলেন, ‘‘রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করে। আমি দরজা খুলতেই বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আমার ঘরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ আমাকে বলে ওদের সঙ্গে যেতে। আমি বলি, যদি যেতে হয় তবে পরের দিন সকালে যাব। ওরা কোনও কথা শোনে না। আমি নাইট গাউন পরা ছিলাম। ওই অবস্থাতেই আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।”

হাসিনের অভিযোগ, অনেক অনুনয়ের পর পুলিশ পোশাক বদলাতে দেয়। কিন্তু বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁর শিশুকন্যা এবং আয়াকে ঘুম থেকে তুলে ডিডৌলি থানাতে নিয়ে আসে পুলিশ। হাসিনের অভিযোগ, থানা থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। সেখানে একটি নোংরা ঘরে রাখা হয় সবাইকে। রাতভর মশার কামড় খেতে হয় তাঁর শিশুকন্যাকে। অনির্বাণ এ দিন বলেন, ‘‘হাসিন জানিয়েছে, সকালে তাঁর বাচ্চার খিদে পেলে খাবার দেয়নি পুলিশ। এমনকি জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি। ফোনও কেড়ে নেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।”

বিকেলে মহকুমা আদালত থেকে জামিন পান হাসিন। কিন্তু অভিযোগ, ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে তাঁদের সবাইকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, পুলিশ হুমকি দেয় ওই বাড়িতে না যেতে। হাসিন জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশ আমাকে এবং আমার গাড়ির চালককে হুমকি দিচ্ছে।” হাসিনের অভিযোগ, তাঁর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন প্রভাব খাটিয়ে পুলিশকে দিয়ে তাঁর নিজের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না। তিনি এ নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন