হাল ছাড়তে নারাজ বাংলার হেপ্টাথলিট স্বপ্না বর্মন। —ফাইল চিত্র।
‘টপস’ (টার্গেট অলিম্পিক্স পোডিয়াম স্কিম) থেকে বাদ পড়েছেন। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ বাংলার হেপ্টাথলিট স্বপ্না বর্মন। বলছেন, পরিশ্রম করেই ফের তিনি ঢুকে পড়বেন ‘টপস’-এ। যা আর্থিক ভাবে সাহায্য করবে তাঁকে।
এ দিন কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এ বারের জাকার্তা এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে সোনা জয়ী স্বপ্নাকে। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘টপস থেকে বাদ পড়া সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। এটা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত। আমার কাজ এই মুহূর্তে পারফরম্যান্স ভাল করা। আগে টপস-এ অন্তভুর্ক্ত হয়েছিলাম, ভাল পারফরম্যান্সের জন্যই। আমি আশাবাদী, ফের ভাল ফল করলে ‘টপস’-এ ঢুকতে পারব।’’
এ বারের এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে ৬০২৬ পয়েন্ট পেয়েছিলেন স্বপ্না। যা অলিম্পিক্স মানের চেয়ে অনেকটাই কম।
নিজের প্রত্যাবর্তনের প্রেরণা সম্পর্কে স্বপ্না এ দিন আরও বলেন, ‘‘আমার প্রেরণা মেরি কম। ৩৫ বছর বয়সেও যে ভাবে তিনি সোনা এনে দেশকে গর্বিত করছেন তা অবিশ্বাস্য। আমার বয়স ২২। আমিও ওঁর মতোই হতে চাই। জানি না, তা করে দেখাতে পারব কি না। তবে চেষ্টা করতে আপত্তি কোথায়?’’ আগামী বছর দোহায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে ৬২০০-র উপরে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে চান স্বপ্না।
এশিয়ান গেমসের পরে রাজ্য সরকার স্বপ্নাকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছিল। স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার জানিয়ে দেন, তিনি সেই অনুদানে খুশি নন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কোনও রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। কিন্তু সকলেই জানেন, স্বপ্না কী পরিমাণ আর্থিক পুরস্কার সরকারের তরফে পেয়েছে এশিয়াডের পরে।’’ প্রসঙ্গত, এশিয়ান গেমসে সোনা পাওয়ার পরে দ্যুতি চন্দকে ওড়িশা সরকার দিয়েছে তিন কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার। হিমা দাসকে অসম সরকার দিয়েছে ১.৬ কোটি টাকা। সুভাষবাবু আরও বলেন, ‘‘বাংলায় প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু আমাদের সরকারের ক্রীড়ানীতি দরকার, যা আগামী প্রজন্মের কাজে লাগবে। আর্থিক অনুদান পাওয়ার খিদে জাগিয়ে তোলা দরকার। যদি এশিয়াড বা কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতলে এক কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার থাকে, তা হলে অনেক অ্যাথলিটই তা পাওয়ার জন্য মাঠে জান লড়িয়ে দেবে। হরিয়ানার সরকারের তরফে এ রকম উদ্যোগেই নতুন ক্রীড়াবিদরা উঠে আসছে।’’