ভোর চারটের সময় ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে হোটেলের ঘর থেকে নীচে নেমে এসে দাঁড়াও। কারণ কী? না, হোটেলের ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠেছে। সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি হোটেলে এ রকম অভিজ্ঞতা হল রাফায়েল নাদাল-সহ একাধিক টেনিস খেলোয়াড়ের।
আমেরিকার জ্যাক সক সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে পরে বলেন, ‘‘পনেরো মিনিট ধরে কাঁপতে কাঁপতে দাঁড়িয়ে থাকার এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল। ঠান্ডায় প্রায় জমে গিয়েছিলাম আমরা।’’ সক মজা করে বলেন, সাধারণত প্রাতঃরাশে খেলোয়াড়রা মিলিত হন। কিন্তু আগুন লাগার সতর্কঘণ্টা প্রচারিত হওয়ায় আগেই একত্রিত হলেন সকলে। অ্যালার্ম যে খুব জোরে বেজেঠিল সেটাও জানান তিনি। বলেন, ‘‘জীবনের সবচেয়ে বিরক্তিকর শব্দগুলোর একটা।’’ বান্ধবীকে নিয়ে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ঘরে ছিলেন সক। এ রকম আতঙ্কের দিনেই আবার তাঁর ম্যাচও ছিল। হোটেলে সতর্ক সঙ্কেতের ধাক্কা সামলে অবশ্য তিনি হারিয়েছেন উইম্বলডন ফাইনালিস্ট মারিন চিলিচ-কে। হোটেলে বিকট শব্দে অ্যালার্ম বেজে উঠেছিল বলে জানিয়েছিলেন সক। সেটা শুনে যে কারও ঘুম ভেঙে যাবে। তিনিও তাড়াতাড়ি উঠে বাইরে বেরিয়ে আসেন। ‘‘আমরা একদম মাঝখানের রুমে ছিলাম। খুবই বিকট শব্দে বেজে উঠল অ্যালার্ম। কিছুক্ষম রুমেই ছিলাম, তার পরেই মনে হল সেটা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’’ কেন অ্যালার্ম বেজে উঠেছিল, জানেন না তিনি। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন, সব টেনিস খেলোয়াড়রাই সেখানে রয়েছেন। বিশ্বের এক নম্বর রাফায়েল নাদাল থেকে শুরু করে ডমিনিক থিয়েম, প্রত্যেকেই চাদর, কম্বল মুড়ি দিয়ে প্রবল ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সক বলছেন, ‘‘সকলেরই তখন মনে হচ্ছিল, কত ক্ষণে হোটেলের ঘরে ফিরে যেতে পারব। এত ঠান্ডা ছিল। সকলে যতটা পেরেছিলাম পোশাক পরে নিয়েছিলাম। তবু পনেরো মিনিটের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। অসহ্য অভিজ্ঞতা।’’ এটিপি ফাইনালস থেকে চোটের কারণে চব্বিশ ঘণ্টা আগেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নাদাল। তিনিও মঙ্গলবার রাতে সক-দের মতোই ছিলেন সেই হোটেলে।