আক্রমকে জিমে পেলাম, ধোনির গাড়িতে এলাম মাঠে

শুধু ক্রিকেট দর্শক নন। ক্রিকেটটা রীতিমতো খেলেনও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে ইডেনের কর্পোরেট বক্সে তাঁকে দেখা গিয়েছে বহু বার। সেই অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত রবিবারের ম্যাচ দেখলেন পুণের হসপিট্যালিটি বক্সে বসে। এবং গোটা দিনের অভিজ্ঞতা শোনালেন আনন্দবাজারকে।সকালে ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে সেলফি। বিকেলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে লম্বা আড্ডা। সন্ধেয় ধোনির গাড়িতে স্টে়ডিয়ামে ঢোকা। গোটা ম্যাচ পুণে ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে বসে দেখা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১২
Share:

যিশুর সেলফি। নাইটদের বোলিং মেন্টরের সঙ্গে।

সকালে ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে সেলফি। বিকেলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে লম্বা আড্ডা। সন্ধেয় ধোনির গাড়িতে স্টে়ডিয়ামে ঢোকা। গোটা ম্যাচ পুণে ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে বসে দেখা।

Advertisement

মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে এক ক্রিকেট ভক্তের জীবনে এত কিছু ঘটে গেলে সেই ক্রিকেট ভক্তের মনের অবস্থা কী হতে পারে? এখন রবিবার রাত, ম্যাচ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। এখনও বুঝে উঠতে পারিনি, নিজের মনের অবস্থা আপনাদের বোঝাতে কী কী শব্দ ব্যবহার করব? তাই বেশি না ভেবে সহজ করে বলি। আজকের দিনটা আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। আজকের দিনটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা দিন।

কেকেআর এখানে যে হোটেলে আছে, আমিও সেখানেই ছিলাম। তা সকালে জিম করতে গিয়ে দেখি, প্রায় গোটা কেকেআর টিম সেখানে হাজির! উমেশ যাদব, গৌতম গম্ভীর, আরও অনেকে। একটু পরে সেখানে ওয়াসিম আক্রমও এলেন। আমি নব্বইয়ের দশকের ক্রিকেট পাগল। আমার মতো যাঁরা ওই সময় ক্রিকেটটা দেখেছেন, তাঁরা বুঝতে পারবেন চোখের সামনে ওয়াসিম আক্রমকে দেখলে মনের মধ্যে কী চলতে পারে! ওঁকে সামনে পেয়ে সোজা বলে ফেললাম, আমি কলকাতা থেকে এসেছি। ছোটবেলা থেকে আপনার ফ্যান। অনেকক্ষণ আক্রমের সঙ্গে কথা হল। দারুণ কথা বলেন আক্রম। দু’জনে একসঙ্গে জিম করলাম। সেলফি তো তুলতেই হত!

Advertisement

টিম হোটেলে পুণে অধিনায়কের ঘরে

তার পরে লাঞ্চ সেরে বিকেল চারটে নাগাদ গেলাম ধোনির রুমে। প্রচুর কথা হল। দুই মেয়ের জন্য ওঁর অটোগ্রাফ নিলাম। ধোনির কাছ থেকে ওঁর একটা ভারী ব্যাট চেয়ে নিয়েছি। আমিও একটু-আধটু ক্রিকেট খেলি, তাই ভারী ব্যাটের মর্ম ভালই জানি। ধোনি বলেছেন, ওঁর নিজের ব্যবহার করা ব্যাট আমার জন্য পাঠিয়ে দেবেন অশোক দিন্দার হাত দিয়ে।

ম্যাচ দেখতে মাঠে এলাম ধোনিরই গাড়িতে। সঙ্গে সাক্ষী আর ধোনির ম্যানেজার অরুণ পাণ্ডেজি। সাক্ষী খুব কথা বলতে পারে। ওর সঙ্গে নানা বিষয়ে অনেক কথা হল। এর আগে ইডেনের বক্সে বসে অনেক ম্যাচ দেখেছি। তার সঙ্গে তুলনায় যাচ্ছি না। কিন্তু পুণে টিমের সঙ্গে ম্যাচ দেখাটা একেবারে আলাদা অভিজ্ঞতা। কী অসাধারণ এনার্জি!

ম্যাচ দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, আমি কোন টিমকে সাপোর্ট করব? কলকাতাকে খুব ভালবাসি। অন্য দিক দিয়ে দেখলে পুণেও তো কলকাতারই টিম। তাই কাকে ছেড়ে কাকে সাপোর্ট করব, বোঝা খুব মুশকিল। কলকাতা আজ জিতল। আশা করছি মাঠে বসে পুণেরও একটা জয় দেখতে পাব। পুণে টিমের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্‌কা আমাকে দিল্লিতে ৫ মে-র ম্যাচটায় নেমন্তন্ন করেছেন। ২ তারিখ আবার আমার শ্যুটিংও শুরু। দেখা যাক!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন