আতলেতিকো দে মাদ্রিদের সঙ্গে গাঁটছড়া ভাঙার জেরে বড় ভাঙন ধরল এটিকের শিবিরে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিম থেকে তিন বিদেশি তারকা চলে গেলেন কেরল এবং জামশেদপুরে।
গতবারের হোসে মলিনার টিমের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইয়ান হিউম যোগ দিলেন কেরল ব্লাস্টার্সে। যেখান থেকে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন, সেখানেই ফিরলেন হিউম।
বয়সের জন্য যে হিউমকে এটিকে রাখবে না সেটা আনন্দবাজারেই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। প্রাথমিক চিন্তা-ভাবনায় সমিঘ দ্যুতিকে রাখার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু নতুন কোচ টেডি শেরিংহ্যাম দ্যুতিকে রাখতে রাজি নন। ফলে দ্যুতি চলে গেলেন টাটার ক্লাব জামশেদপুর এফ সি-তে। তবে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা পাকা হলেও রাত পর্যন্ত সই হয়নি। এ দিকে এটিকে-র রক্ষণের অন্যতম ভরসা তিরিকে বুধবার সই করিয়ে নিল স্টিভ কপেলোর দল। জামশেদপুরের এক কর্তা ফোনে বললেন, ‘‘দ্যুতির সইটাই শুধু বাকি। তবে আমরা হিউমকে চেয়েছিলাম। ওঁকে না পাওয়ায় অন্য স্ট্রাইকারের কথা ভাবতে হচ্ছে।’’ এটিকে সূত্রের খবর, গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিমের কোনও বিদেশিকেই রাখতে চাইছেন না কোচ শেরিংহ্যাম। ডেভিড বেকহ্যামের প্রাক্তন সর্তীর্থ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজেই বিদেশি বাছবেন। ইতিমধ্যেই টটেনহ্যামের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার রবি কিনকে নিয়েছে এটিকে। শোনা যাচ্ছে বাকি যাঁদের আনা হবে তাঁরা প্রায় সবাই ব্রিটিশ। হাবাস-মলিনা জমানায় এটিকে ছিল স্প্যানিশময়। এ বার তা হবে ব্রিটিশময়। জানা গিয়েছে, শেরিংহ্যাম চেষ্টা চালাচ্ছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল বা টটেনহ্যামের মতো কোনও ক্লাবে গিয়ে চল্লিশ বা পঁয়তাল্লিশ দিনের আবাসিক শিবির করতে। এটিকের অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ১৫ অক্টোবর। তার আগেই বিদেশি ফুটবলার ঠিক হয়ে যাবে। এ দিকে, অবিনাশ রুইদাসের ভবিষ্যৎ আজ, বৃহস্পতিবারও সম্ভবত চূড়ান্ত হবে। তবে এই বৈঠকে প্রতিশ্রুতিমান মিডফিল্ডার হাজির থাকবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।