ঘোষণা: সাংবাদিক বৈঠকে আইসিসির রিচার্ডসন। —নিজস্ব চিত্র।
ক্রিকেট যাতে ভদ্রলোকের খেলাই থাকে, তা নিশ্চিত করতে এ বার কড়া হতে চলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বৃহস্পতিবার কলকাতায় আইসিসি-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ডেভ রিচার্ডসন সাফ জানিয়ে দেন, মাঠে ক্রিকেটাররা অসংযত আচরণ করলে বা বল বিকৃতি করলে তাঁদের শুধু জরিমানা বা দু-এক ম্যাচে বহিষ্কার করেই থামবে না আইসিসি। আরও কড়া নিয়ম আসতে চলেছে তাঁদের জন্য।
ফুটবলে রেফারিদের যেমন লাল কার্ড ও হলুদ কার্ডের মাধ্যমে ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে, ক্রিকেটে আম্পায়ারদেরও হয়তো এ বার তেমন ক্ষমতাই দেওয়া হবে, ইঙ্গিত দেন রিচার্ডসন। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যে সব ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সেই জন্যই মনে হচ্ছে এখন থেকে আমাদের আরও কড়া হতে হবে।’’ ফুটবলের মতো লাল কার্ড, হলুদ কার্ড ক্রিকেটেও চালু করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমরা আলোচনায় বসব। ম্যাচে যাতে বেশি সময় নষ্ট না হয়, সে জন্য আমরা চাই আম্পায়াররা বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই মাঠে নিক। লাল কার্ড, হলুদ কার্ড যাই চালু করা হোক, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশেষ কমিটি।’’
অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি সংস্থার বর্তমান শাস্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসবে। পরে ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই ডাবলিনে আইসিসি-র বার্ষিক সভায় সেগুলি কী ভাবে আরও কড়া হতে পারে, তার প্রস্তাব দেবেন। তার পরে সিদ্ধান্ত। এই কমিটিতে শন পোলক, অ্যালান বর্ডার ও কোর্টনি ওয়ালসের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগ দিতে চলেছেন রিচি রিচার্ডসন, জানান আইসিসি-র সিইও।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে বারবার দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ঝগড়া, অশান্তি হয়েছে। একে অপরের সঙ্গে একাধিকবার দুর্ব্যবহার করেছেন ক্রিকেটাররা। আইসিসি-র গঠনতন্ত্রে কড়া শাস্তির প্রচলন নেই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় বল বিকৃতি কাণ্ডে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট, স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে জরিমানা ও সর্বোচ্চ এক টেস্টে নির্বাসন দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না তাদের। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রে অনেক কড়া নিয়ম থাকায় তাদের নয় থেকে বারো মাসের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়। এ বার আইসিসি-ও সেই পথেই পা বাড়াতে চায়।