জামিনে মুক্তি পেয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন সেই সমর্থক

ডার্বি-নাটকের যবনিকা আজ

পুলিশের কড়া পদক্ষেপ। আইএফএ-র আশ্বাস। আয়োজকদের তৈরি মঞ্চ। এত সবের পরেও এখনও ডার্বি-জট কাটল না। সব ঠিকঠাক চললে, অভূতপূর্বভাবেই ডার্বির ভাগ্য চূড়ান্ত হবে সোমবার বিকেলে! মহা-ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:২৬
Share:

পুলিশের কড়া পদক্ষেপ।

Advertisement

আইএফএ-র আশ্বাস।

আয়োজকদের তৈরি মঞ্চ।

Advertisement

এত সবের পরেও এখনও ডার্বি-জট কাটল না। সব ঠিকঠাক চললে, অভূতপূর্বভাবেই ডার্বির ভাগ্য চূড়ান্ত হবে সোমবার বিকেলে! মহা-ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে।

বাগান সেই অনড়। এখনও তাদের দাবি, দর্শকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে পূর্ত দফতরের ফিট সার্টিফিকেট না পেলে খেলবে না দল। এমনকী সোমবার কল্যাণীতে প্র্যাকটিস করার কথা থাকলেও যাচ্ছে না তারা। প্র্যাকটিস হবে নিজেদের মাঠে। রাতের দিকে আবার স্থানীয় ফুটবলমহলে রটে গেল, পূর্ত দফতরের সার্টিফিকেট পেলেও মোহনবাগান শেষ পর্যন্ত ডার্বি খেলবে কি না? কী দাঁড়াচ্ছে, সোমবার বিকেলের আগে নিশ্চিত ভাবে জানা সম্ভব নয়।

নাটক ডার্বি-ভবিষ্যৎ ঘিরে। নাটক ডার্বি-চরিত্র নিয়েও। যেমন দীপেন কর্মকার নামের সংশ্লিষ্ট সমর্থক। দিন দুয়েক আগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মোহন-কর্তাদের যিনি অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে কুখ্যাত ১৬-ই অগস্ট ফেরানোর হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাঁকে জামিনে গভীর রাতে ছেড়েও দেওয়া হয়। মুক্তি পেয়ে যিনি দু’রকম বক্তব্য রাখলেন। পুলিশ সূত্র মারফত জানা গেল, পুলিশকে তিনি বলেছেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। তিনি নন, ওই বিতর্কিত পোস্ট করেছে অন্য কেউ। এটাও শোনা গেল বলেছেন যে, অপরাধ যখন করেননি তখন ডার্বিতে যাবেন। কিন্তু পরে মিডিয়ার সামনে তিনি বলেন, ‘‘আমি অন্যায় করেছি। ক্ষমা চাইছি। ডার্বি দেখতে আমি যাব না। প্লিজ, আমাকে আপনারা ছেড়ে দিন। আমারও একটা কেরিয়ার আছে।’’ যা খবর, দীপেনকে আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দীপেন গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা নিশ্চিন্ত বাগান কর্তারা। এই ‘সমর্থকের’ পাশে নেই ইস্টবেঙ্গলও। ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘এ রকম ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না। উৎসাহী হওয়া ভাল। তবে অতি-উৎসাহী হলে, সেটা কখনও কখনও সমাজের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠে। আশা করব, দীপেন এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে। নিজেকেও শুধরানোর চেষ্টা করবে।’’

প্রচুর নাটক চার দিকে চললেও ডার্বি করতে পুলিশ তৎপর, আইএফএ আত্মবিশ্বাসী। রবিবার দফায় দফায় কল্যাণী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। নিরাপত্তার দিকটাও খতিয়ে দেখা হয়। এ দিন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘সোমবার বিকেলের মধ্যেই পূর্ত দফতরের ফিট সার্টিফিকেট আর পুলিশের ছাড়পত্র হাতে পেয়ে যাব। ডার্বি হচ্ছেই। আর সেটা বুধবারই।’’

উৎপলবাবু যাই বলুন না কেন, কল্যাণীতে অস্থায়ী গ্যালারি সংস্কারের কাজ এখনও চলছে। গোলপোস্টের পিছনে যেমন কাঠের গ্যালারি ভেঙে সেখানে লোহার স্ট্যান্ড তৈরির কাজ হচ্ছে। এবং সেটা মঙ্গলবারের আগে শেষ হবে বলেও মনে হচ্ছে না। যদিও কল্যাণী পুরসভার এক কর্তা বললেন, ‘‘মোট ষোলো হাজার দর্শকাসন হবে। যে গ্যালারির কাজ বাকি সেটা মাত্র এক হাজার লোক বসতে পারবে। মনে হয় না ফিট সার্টিফিকেট পেতে কোনও অসুবিধা হবে সোমবার।’’ এখনও পর্যন্ত যা খবর, সোমবার দুপুরে চূড়ান্ত পরিদর্শনে আসবেন পূর্ত দফতরের কর্তারা। এবং তাঁরাই ঠিক করবেন বুধবার কল্যাণীতে আদৌ ডং বনাম বিদেমি হবে, না ভেস্তে যাবে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement