চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অভিযান এখনও শুরু হতে পারল না। এর মধ্যে অদূর ভবিষ্যতে বিতর্কের শিরোনাম তৈরি হয়ে গিয়েছে। যে বিতর্ক উঠছে অনিল কুম্বলে কি আদৌ ভারতীয় দলের কোচ থাকতে পারবেন?
নতুন কোচের জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ড বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সেটা দেখে কারও কারও মনে হচ্ছিল যে, সমস্ত কিছু নিয়ম মাফিক সারা হবে বলেই বোর্ড এমন বিজ্ঞাপন দিয়েছে। ইংল্যান্ডে যা আবহাওয়া বদলের মতোই ঘুরে গিয়েছে। এখন ইঙ্গিত বরং বলছে, সম্ভবত কুম্বলে আর সর্বসম্মত পছন্দ নন বলেই সেই কারণে নতুন কোচের খোঁজে নেমে পড়েছে ভারতীয় বোর্ড।
ওয়াকিবহাল মহল থেকে আরও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, ভারতীয় দলের মধ্যেও কুম্বলেকে নিয়ে নিরঙ্কুষ সমর্থনের হাওয়া নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিরাট কোহালির সঙ্গে কি কুম্বলের রসায়ন ঠিক আছে? ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু জোর দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারছে না। বরং বেশ কয়েকটি ব্যাপারে ভারতীয় দলের কোচ এবং অধিনায়কের মতপার্থক্যের নমুনা পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ এতদূরও বলে ফেলছেন যে, কোহালি-কুম্বলে দ্বিতীয় সৌরভ-গ্রেগ চ্যাপেল ঘটনা হতে যাচ্ছে না তো? ভারতীয় ক্রিকেট সংসারে দুই শীর্ষব্যক্তিত্বের মধ্যে যে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে না সেই ইঙ্গিত বোর্ডকর্তাদের কাছে পৌঁছেছে। নানা ঘটনা সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের কানেও তোলা হয়েছে। বোর্ডে ক্ষমতাসীন দুই গোষ্ঠিই কোচ-এবং অধিনায়কের বর্তমান সম্পর্কের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল।
আরও পড়ুন: ধোনির বিস্ময় স্ট্যাম্পিংয়ে হতবাক ক্রিকেট মহল
কোহালি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলার মধ্যে এই নিয়ে মুখ খুলবেন না ধরে নেওয়া যায়। আবার এটাও কারও চোখ এড়াচ্ছে না, যে দিন তিনেক আগে ইংল্যান্ডেই কোহালিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কুম্বলের অবদান কী? কোহালির তখন উত্তর ছিল, ‘‘টিম ভাল করলে সকলের জন্য ভাল করে। নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির জন্য টিমের সাফল্য আসে না।’’ অধিনায়কের এই মন্তব্যের পরেই আগুনে আরও ঘি পড়েছে যে, কোহালি প্রকাশ্যেও কুম্বলের অবদানের (যদি কিছু থাকে) কথা বললেন না কেন? তাতে কারও কারও মনে হচ্ছে, না বলেও কোহালি বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোচকে নিয়ে সম্ভবত আলাদা করে তার কিছু আর বলার নেই।
এর পরও কুম্বলে যদি দীর্ঘমেয়াদি ভাবে থেকে যান, সেরা বিস্ময় হবে।